ঢাকা মঙ্গলবার, ১৩ই মে ২০২৫, ৩১শে বৈশাখ ১৪৩২


মামলার বন্যায় দেশকে ভাসিয়ে দেয়া হয়েছেঃ রিজভী


৫ অক্টোবর ২০১৮ ০১:০৯

বিএনপি নেতাকর্মীরা এখন প্রতিনিয়ত হামলা-মামলার শিকার হচ্ছে। কোনো কারণ ছাড়াই তাদের নামে কাল্পনিক মামলা প্রদান করা হচ্ছে। দেশকে আজ কাল্পনিক বন্যায় ভাসিয়ে দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী আহমেদ।

বৃহস্পতিবার (৪ অক্টোবর) রাজধানীর নয়াপল্টন দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন তিনি এসব অভিযোগ করেন।

রিজভী বলেন, এই ভোটারবিহীন সরকার বিএনপি নেতাকর্মীদের ঘুম হারাম করে দিয়েছে। কোনো ওয়ার্ডেই তিন জন নেতাকর্মী একসাথে চলাফেরা করতে পারছে না। এর ওপর ক্রমাগত বিএনপি নেতাকর্মীদের বাড়ির সামনে রাতের অন্ধকারে এসে থামে কালো টিনটেড গ্লাস দিয়ে ঢাকা মাইক্রোবাস। কর্কশ কড়া নাড়ার শব্দে ভেঙে চুরে খান খান হয়ে যায় রাতের নিস্তবদ্ধতা। বাসাবাড়ি তছনছ করে চলে চিরুনী তল্লাশি।

তিনি বলেন, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার বিষয়ে এই মামলায় কয়েক দফা চার্জশিট দেয়া এবং বিচার কার্য অনেক দূর এগিয়ে যাওয়ার পর বিচারিক আদালত থেকে চার্জশিট ফিরিয়ে এনে সম্পূরক চার্জশিট দেয়া হয় আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর। যা ছিল বেআইনী ও নজীরবিহীন। এতে মূখ্য উদ্দেশ্য ছিল বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে মামলায় জড়ানো। ২০১১ সালের ৭ এপ্রিল মুফতি হান্নানকে অমানুষিক নির্যাতনের করে তাকে দিয়ে আদালতে তারেক রহমানের নাম বলানো হয়।

তিনি আরও বলেন, তারেক রহমানের নাম বলানোর পর তা প্রত্যাহারের সুযোগ খুঁজছিলো মুফতি হান্নান। তা না হলে পুনরায় রিমান্ডে নিয়ে ‘ক্রসফায়ারে’ মৃত্যুবরণ করতে হবে এই আশঙ্কায় চার্জশিট দাখিলের জন্য প্রহর গুনতে থাকে। অবশেষে ২০১১ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর সেই সুযোগ মুফতি হান্নান পেয়ে যায়। ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক শাহেদ নুর উদ্দিনের আদালতে মুফতি হান্নান লিখিতভাবে জানান, ২০১১ এর ৪ এপ্রিল কাশিমপুর কারাগার থেকে এনে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলগেটে জেল সুপার লিখিত কাগজ স্বাক্ষর করতে বলে। স্বাক্ষর না করলে অশ্লীল গালিগালাজ করে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সহ-দফতর সম্পাদক মুনির হোসেন, বেলাল হোসেন প্রমুখ।

আইএমটি