গাড়ি, ড্রাইভার জ্বালানি এন্টারটেইমেন্ট চান সংসদীয় কমিটির সভাপতি

মন্ত্রী প্রতিমন্ত্রীদের মত সংসদীয় কমিটির সভাপতি হিসেবে গাড়ি, ড্রাইভার জ্বালানি ও এন্টারটেইমেন্ট চান সংসদীয় কমিটির সভাপতি এইচ এন আশিকুর রহমান। এই ধরনের সুযোগ সুবিধা চেয়ে কমিটির সভাপতি হিসেবে সুপারিশ করেছেন তিনি। তবে এই সুপারিশের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেছেন কয়েকজন কমিটির সভাপতি। বৃহস্পতিবার (৫ মার্চ) সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির ৬ষ্ঠ বৈঠকে এ সুপারিশ করেন তিনি।
বৈঠকে শেষে এ তথ্য নিশ্চিত করে কমিটির সভাপতি এইচ এন আশিকুর রহমান বলেন, সংসদীয় কমিটিগুলো কিন্তু সরকারের ওয়াচডক হিসেবে কাজ করে। কিন্তু তারা সংসদে অফিস ও আপ্যায়ন ভাতা ছাড়া আর কিছু পান না। এজন্য সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতিকে গাড়ি ও ড্রাইভারের সাথে জ্বালানি প্রদানের জন্য এনটাইটেলমেন্ট প্রদানের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণে বৈঠকে সুপারিশ করা হয়।
তবে এ সুপারিশের সঙ্গে দ্বিমত করেছেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মেজর জেনারেল (অব.) মোহাম্মদ সুবিদ আলী ভূঁইয়া। তিনি বলেন, সংসদীয় কমিটি স্বার্থ সংশ্লিষ্ট কোনো বিষয়ে সুপারিশ করতে পারে না। আর এই ধরনের সুপারিশ শুধু তার জন্য না সব সংসদীয় কমিটির সভাপতির জন্য এটি পরিস্কার করা উচিত।
এবিষয়ে নাম প্রকাশ না করার শর্তে সংসদীয় কমিটির এক সভাপতি বলেন, এই ধরনের সুপারিশ করার আগে সব কমিটির সভাপতিদের সঙ্গে কথা বলা উচিত।
প্রসঙ্গত, সংসদ সদস্য (পারিতোষিক ও ভাতাদি) আদেশ, ১৯৭৩ (মে ২০১৬ পর্যন্ত সংশোধিত) অনুযায়ী, একজন এমপি সংসদীয় কমিটিতে উপস্থিত থাকলে যাতায়াত বাবদ কিলোমিটার (সড়ক পথে) প্রতি ১০ টাকা করে পান। এমপি হিসেবে শপথ নেয়ার সময় যে ঠিকানা ব্যবহার করা হয় সেই ঠিকানা অনুযায়ী তারা যাতায়াত ভাড়া পান। যে এলাকা থেকে তিনি নির্বাচিত হন, সেই এলাকার ঠিকানা শপথের সময় ব্যবহার করা হয়। এছাড়া প্রতি বৈঠকে উপস্থিতির জন্য ১০০০ টাকা পান। এছাড়া সংসদীয় কমিটির সভাপতিরা সরকারি কার্যালয় ও অফিস খরচ পেয়ে থাকেন।
জানা যায় বৈঠকে, বিসিএস (তথ্য) ক্যাডারের বাংলাদেশ বেতারে কর্মরত কর্মকর্তাদের পদোন্নতি জট নিরসনে শীঘ্রই সুপারনিউমারি পদ সৃজন করে পদোন্নতি প্রদানের সুপারিশ করা হয়।