মুজিববর্ষে মোদী না আসার কারণ নেই: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
-2020-03-05-14-52-11.jpg)
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী মুজিববর্ষের অনুষ্ঠানে না আসার কোনো কারণ নেই। বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র এটি (ভারত)। সেখান থেকে আরও অনেক অতিথি আসবেন। সবার নিরাপত্তা বিষয়টি আন্তরিকভাবে নেওয়া হবে।
করোনা ভাইরাস নিয়ে তিনি বলেন, আমরা অত্যন্ত সৌভাগ্যবান যে একটি রোগীও আমাদের দেশে পাওয়া যায়নি। যারা আমাদের দেশে আসছেন, তাদের আমরা করোনা পরীক্ষা করে আসার জন্য বলেছি।
বৃহস্পতিবার (০৫ মার্চ) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অষ্টম জাতীয় এসএমই পণ্যমেলা-২০২০-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
করোনা ভাইরাস নিয়ে মন্ত্রী বলেন, আমরা সৌভাগ্যবান যে আমাদের এখানে কোনো আক্রান্ত রোগী পাওয়া যায়নি। যেসব দেশে বেশি আক্রান্ত রয়েছে তাদের আপাতত নিরুৎসাহিত করছি। তবে যে কোনো রাষ্ট্র থেকে আমাদের দেশে আসতে চাইলে অবশ্যই এটা পরীক্ষা করে আসতে বলেছি। আবার দেশে আসার পরও তারা ২ সপ্তাহের অবজারভেশনে থাকছেন। কোনো অস্থিশীল পরিবেশ তৈরি হলে অবশ্যই সরকার এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে।
তিনি বলেন, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প খাতের বিকাশে দুতাবাস ও উন্নয়ন সহযোগী সংস্থাগুলোর সহযোগিতা চাই। সব দেশে এখাতে অবদান অনেক বেশি। উন্নত দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এসএমই সেন্টার থাকে। সেখান থেকে উদ্যোক্তারা পরামর্শের পাশাপাশি ঋণ সহায়তা পেয়ে থাকেন। আমাদের সরকার এসএমই নিয়ে আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করছে। দেশের বেশিরভাগ উদ্যোক্তা এসএমই উদ্যোক্তা। উন্নত দেশগুলো প্রযুক্তি ও বাজার বিকাশে এগিয়ে এলে বাংলাদেশের ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প খাত এগিয়ে যাবে জোরেসোরে।
এসএমই উদ্যোক্তারা বলেন, কম উৎপাদনশীলতা বিশ্বব্যাপী ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পখাতের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। বিশ্বের সব দেশ কমবেশি এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করছে। উন্নত দেশগুলোর অনুকরণে ভ্যালু চেইনের উন্নয়ন করে এসএমই খাতে পণ্য বৈচিত্র্যকরণ ও মূল্য সংযোজনের সুযোগ কাজে লাগাতে হবে।
এসএমই ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) শফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আব্দুল হালিম, তথ্য কমিশনার সুরাইয়া বেগম, নাহিদা রহমান সুমনা, অধ্যাপক মমতাজসহ আমন্ত্রিত অতিথি এবং এসএমই উদ্যোক্তারা।
অনুষ্ঠান শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী অষ্টম জাতীয় এসএমই পণ্য মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। নয় দিনব্যাপী এ মেলার পর্দা নামবে আগামী ১২ মার্চ। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত সর্বসাধারণের জন্য মেলা উন্মুক্ত থাকবে।
এবারের মেলায় মোট ৩০৬টি প্রতিষ্ঠান প্লাস্টিক, হ্যান্ডিক্র্যাফট, সিনথেটিক, গার্মেন্টস, প্রসাধনী, খাদ্যপণ্য, চামড়াজাত পণ্যসহ আরও পণ্য প্রদর্শন করছে।
নতুনসময়/আনু