হলি আর্টিজান মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ ৬ মে

রাজধানীর গুলশানে হলি আর্টিজানে হামলার ঘটনায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে দায়ের করা মামলার পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ৬ মে দিন ধার্য করেছেন আদালত। সোমবার (২৯ এপ্রিল) ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মজিবুর রহমান এ দিন ধার্য করেন।
এর আগে গত ২৪ এপ্রিল ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্য দেন ওয়ারেন্ট অফিসার (অব:) মো. জালাল উদ্দিন এবং নুরুল ইসলাম নামে এক বাড়িওয়ালা।
গত ১৭ এপ্রিল আদালতে সাক্ষ্য দেন আনোয়ারুল আজিম, মমতাজ পারভীন ও রিনা খানম। তারা সবাই বাড়িওয়ালা। তাদের বাড়িতে বিভিন্ন নামে ভাড়া থাকতো আসামিরা।
ঘটনার পর বিভিন্ন টিভি চ্যানেলে সন্ত্রাসীদের ছবি দেখে আসামিদের শনাক্ত করেন বলে সাক্ষ্যে তুলে ধরেছেন তারা।
এ মামলায় ২১১ সাক্ষীর মধ্যে এখন পর্যন্ত ৩৫ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে। গত ২৭ মার্চ এ মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন শাহ আলী থানার ওসি মো. সালাউদ্দিন মিয়া।
সাক্ষ্যগ্রহণের সময় আসামি মামুনুর রশীদ ওরফে রিপন, শফিকুল ইসলাম ওরফে খালেদ, হামলার মূল সমন্বয়ক বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত কানাডার নাগরিক তামিম চৌধুরীর সহযোগী আসলাম হোসেন ওরফে রাশেদ ওরফে আবু জাররা, ঘটনায় অস্ত্র ও বিস্ফোরক সরবরাহকারী নব্য জেএমবি নেতা হাদিসুর রহমান সাগর, নব্য জেএমবির অস্ত্র ও বিস্ফোরক শাখার প্রধান মিজানুর রহমান ওরফে বড় মিজান, জঙ্গি রাকিবুল হাসান রিগ্যান, জাহাঙ্গীর আলম ওরফে রাজীব ওরফে রাজীব গান্ধী ও হামলার অন্যতম পরিকল্পনাকারী আব্দুস সবুর খান (হাসান) ওরফে সোহেল মাহফুজকে কারাগার থেকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।
এর আগে গত ২১ মার্চ হামলার ঘটনায় নিহত তৎকালীন বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সালাউদ্দিনের স্ত্রী রেনকিমসহ পাঁচজন সাক্ষ্য দিয়েছেন। অন্য সাক্ষীরা হলেন শরিফুল, আ. সবুর খান, নুরজাহান ও দাউদ।
এছাড়া গত ৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) নিহত সহকারী কমিশনার (এসি) রবিউল ইসলামের ছোটভাই শামসুজ্জামান ও খালাতো ভাই আনোয়ার হোসেন এবং রেস্তোরাঁর ক্রেতা নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির সাবেক শিক্ষক হাসনাত রেজা করিমের স্ত্রী শারমিনা পারভীন সাক্ষ্য দেন।
২০১৬ সালের ১ জুলাই গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে হামলা চালায় জঙ্গিরা। ওইদিন ১৭ বিদেশিসহ ২০ জনকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করা হয়। হামলার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গেলে পুলিশের ওপর গ্রেনেড হামলা চালায় জঙ্গিরা।
এতে পুলিশের এসি রবিউল ইসলাম ও বনানী থানার ওসি সালাউদ্দিন নিহত হন।এরপর ৪ জুলাই গুলশান থানার এসআই রিপন কুমার দাস বাদী হয়ে মামলা করেন। ২০১৮ সালের ২৩ জুলাই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কাউন্টার টেরোরিজম বিভাগের পরিদর্শক হুমায়ূন কবির আদালতে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
একই বছরের ২৬ নভেম্বর আট আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করার পর গত ৪ ডিসেম্বর থেকে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ১ জুলাই রাতে গুলশানের হলি আর্টিজানে হামলা চালিয়ে বিদেশি নাগরিকসহ ২০ জনকে হত্যা করে জঙ্গিরা। তখন তাদের গুলিতে দুই পুলিশ কর্মকর্তা নিহত হন। পরে অভিযানে পাঁচ জঙ্গি নিহত হন।হলি আর্টিজানে সেনাবাহিনীর ‘অপারেশন থান্ডারবোল্ট’-এ নিহত পাঁচ হামলাকারী হলেন- রোহান ইবনে ইমতিয়াজ, মীর সামেহ মোবাশ্বের, নিবরাস ইসলাম, শফিকুল ইসলাম ওরফে উজ্জ্বল ও খায়রুল ইসলাম ওরফে পায়েল।
নতুনসময়/এসআই