ঢাকা রবিবার, ১১ই মে ২০২৫, ২৯শে বৈশাখ ১৪৩২


‘রেইন ট্রি’ হোটেলের ধর্ষণ মামলায় সাফাত-নাঈমের জামিন বাতিল


১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০১:৩৬

‘রেইন ট্রি’ হোটেলের ধর্ষণ মামলায় সাফাত-নাঈমের জামিন বাতিল

বনানীর আলোচিত ‘দ্য রেইন ট্রি’ হোটেলে বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া দুই ছাত্রী ধর্ষণের মামলার প্রধান আসামি সাফাত আহমেদের জামিন বাতিল করেছেন ট্রাইব্যুনাল। একই সঙ্গে তাকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। এছাড়া কারাগারে থাকা একই মামলার আসামি সাফাতের বন্ধু নাঈম আশরাফের জামিন আবেদনও বাতিল করেছেন ট্রাইব্যুনাল।

বুধবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার ৭ নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক খাদেম উল কায়েসের আদালত এ আদেশ দেন। আজ (বুধবার) জামিনে থাকা সাফাত আহমেদের জামিনের বিষয়ে আদেশের দিন ধার্য ছিল। আদালতে সাফাত আহমেদের উপস্থিতিতে বিচারক তার জামিন আবেদন বাতিল করেন। 

অপরদিকে, মামলার ভিকটিমকে জেরা করার দিন ধার্য ছিল আজ (বুধবার)। আদালতে তাকে জেরা করে আসামিপক্ষের আইনজীবী। তবে তাকে জেরা করা শেষে না হওয়ায় আগামী ৬ মার্চ পরবর্তী জেরার জন্য নতুন করে দিন ধার্য করেন ট্রাইব্যুনাল।

গত ২৯ নভেম্বর সাফাত আহমেদের জামিন মঞ্জুর করেন একই বিচারক। এর আগে বিভিন্ন সময় ধর্ষণের সহযোগী আসামি সাফাত আহমেদের দেহরক্ষী রহমত আলী ও গাড়িচালক বিল্লাল হোসেন এবং বন্ধু সাদমান সাকিব হাইকোর্ট থেকে জামিন পেয়েছেন।

২০১৭ সালের ২৮ মার্চ বনানীর ‘দ্য রেইন ট্রি’ হোটেলে জন্মদিনের পার্টির কথা বলে ডেকে নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া দুই ছাত্রীকে ধর্ষণ করা হয়। ওই ঘটনার প্রায় ৪০ দিন পর ৬ মে সন্ধ্যায় আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমেদের ছেলে সাফাত আহমেদসহ পাঁচজনকে আসামি করে বনানী থানায় ধর্ষণের মামলা করেন এক ভুক্তভোগী।

৮ জুন ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম দেলোয়ার হোসেনের আদালতে সাফাতসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের নারী সহায়তা ও তদন্ত বিভাগের পরিদর্শক ইসমত আরা এমি। অভিযোগপত্রে ৪৭ জনকে সাক্ষী করা হয়।

পরে ১৩ জুলাই ঢাকার দুই নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক শফিউল আজম আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। আসামি সাফাত ও নাঈমের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনের ৯ (১) ধারা এবং অন্য আসামিদের বিরুদ্ধে ৯ (১) এর ৩০ ধারায় অভিযোগ গঠন করা হয়।