মতিঝিল স্কুলের প্রধান শিক্ষক বরখাস্ত

বাধ্যতামূলকভাবে শিক্ষার্থীদের ভর্তি বাবদ বেআইনি অর্থ গ্রহণ ও হয়রানির অভিযোগে মতিঝিল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
অভিযানকালে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ার পরপরই তাৎক্ষণিকভাবে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়কে অবহিত করলে তাৎক্ষণিক শাস্তিমূলক ব্যবস্থা হিসেবে প্রধান শিক্ষক নুরজাহান হামিদাকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
সোমবার দুদক হটলাইনে ভুক্তভোগী অভিভাবকদের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে দুদকের সহকারী পরিচালক নার্গিস সুলতানা ও উপ-সহকারী পরিচালক মো. সবুজ হাসানের সমন্বিত দল অভিযান চালায়।
দুদকের অভিযানের বিষয়ে সংস্থাটি জানায়, অভিভাবকদের কাছ থেকে মতিঝিল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নুরজাহান হামিদা বাধ্যতামূলকভাবে বিনা রশিদে ১০০০- ১৫০০ টাকা করে নিচ্ছেন। এমনকি হতদরিদ্র ব্যক্তিদের সন্তানদেরও বিনামূল্যে ভর্তি করানো হয়নি, বরং তাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা হয়েছে। ২০১৯ সালে ভর্তি বাবদ ওই প্রধান শিক্ষক এ যাবত এভাবে ৫ লাখ ৭৭ হাজার টাকা নিয়েছেন।
উল্লেখ্য, এসব টাকার কোনো আয়-ব্যয়ের হিসাব রাখা হয়নি। প্রধান শিক্ষক দুদক টিমের কাছে অবৈধ অর্থ আদায়ের ঘটনা স্বীকার করেন। এ ঘটনা উদঘাটন হবার পরপরই মহাপরিচালক (প্রশাসন) বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়কে অবহিত করে তাৎক্ষণিক শাস্তিমুলক ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানান। এরপরই প্রধান শিক্ষক নুরজাহান হামিদাকে বরখাস্তের আদেশ জারি করে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
অভিযান প্রসঙ্গে দুদকের এনফোর্সমেন্ট ইউনিটের প্রধান সমন্বয়ক মহাপরিচালক (প্রশাসন) মোহাম্মাদ মুনীর চৌধুরী বলেন, ‘দুদক শিক্ষা সেক্টরে দুর্নীতির শেকড় উৎপাটনে কঠোর অভিযান চালাবে। তবে এসব দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদেরও প্রতিরোধমূলক মানসিকতা থাকতে হবে। শিগগিরই বেআইনিভাবে আদায়কৃত অর্থ অভিভাবকদের কাছে ফেরত প্রদানের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’
/এ আই