ঢাকা বৃহঃস্পতিবার, ৮ই মে ২০২৫, ২৬শে বৈশাখ ১৪৩২

সাবেক এমপি একরামুল করিম নোয়াখালী কারাগারে


২ অক্টোবর ২০২৪ ১২:৫৫

ফাইল ফটো

নোয়াখালী-৪ (সদর ও সুবর্ণচর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ একরামুল করিম চৌধুরীকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। বুধবার (২ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক সাজ্জাদ হোসেন একরামুল করিমকে নোয়াখালী জেলা কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। সকাল ৭টা ৪০ মিনিটে তাকে নোয়াখালী জেলা কারাগারে নেওয়া হয়।

 

এর বুধবার সকাল সোয়া ৭টায় তাকে নোয়াখালীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের ১নং আমলি আদালতে হাজির করা হয়। পরে সুধারাম মডেল থানার একটি হত্যা মামলায় একরামুল করিম চৌধুরীকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। নোয়াখালী জেলা কোর্ট পরিদর্শক শাহ আলম এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।এদিকে কারাগারে তার অবস্থান সম্পর্কে জানতে চাইলে জেল সুপার গোলাম দস্তগীর জানান, সাবেক এ সংসদ সদস্যকে আপাতত কারাগারের সাধারণ ওয়ার্ডের একটি কক্ষে থাকতে দেওয়া হয়েছে। পরে প্রশাসনের নির্দেশ অনুযায়ী ডিভিশন কিংবা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

 

 

জানা যায়, মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) রাতে চট্টগ্রামের খুলশির বাসা থেকে একরামুল করিম চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব)। এ সময় তার কাছ থেকে ২৬ হাজার ২০০ মার্কিন ডলার, দুই হাজার ১০০ সিঙ্গাপুরের মুদ্রা ও বাংলাদেশি ১০ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়। খোঁজ নিয়ে আরও জানা যায়, একরামুলের বিরুদ্ধে নোয়াখালীর সুধারাম থানায় একটি হত্যা, বিস্ফোরক ও অপহরণ মামলা, কবিরহাট থানায় একটি অস্ত্র মামলা ও সোনাইমুড়ী থানায় একটি হত্যা মামলাসহ মোট চারটি মামলা রয়েছে। এ ছাড়া ঢাকার একটি থানায়ও তার বিরুদ্ধে মামলা আছে। উল্লেখ্য, নোয়াখালী-৪ (সদর-সুবর্ণচর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মোহাম্মদ একরামুল করিম চৌধুরী ১৭ বছর ধরে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে তিনি আত্মগোপনে ছিলেন। চারবারের এমপি একরামুল গত ১৫ বছরে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতি করে বিপুল অর্থ-সম্পদের মালিক হয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে নোয়াখালীর কবিরহাট ও সুবর্ণচরের বেশিরভাগ জনপ্রতিনিধি ছিলেন একরামুল করিম চৌধুরীর আত্মীয়। তার স্ত্রী কামরুন নাহার শিউলি কবিরহাট উপজেলার চেয়ারম্যান ছিলেন। সবশেষ উপজেলা নির্বাচনে একরামুল করিমের ছেলে আতাহার ইসরাক শাবাব চৌধুরী সুবর্ণচর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হন।