ঢাকা বৃহঃস্পতিবার, ৮ই মে ২০২৫, ২৬শে বৈশাখ ১৪৩২

বালু মহালের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে গোলাগুলি, অস্ত্রসহ আটক ১০


৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১০:০৯

ফাইল ফটো

পাবনা সদর উপজেলার ভাড়ারায় পদ্মা নদীতে বালু মহালের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে দুই গ্রুপের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এতে গুলিবিদ্ধসহ ১০ জন আহত হয়েছেন। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে ১০ জনকে অস্ত্রসহ আটক করেছে পুলিশ।

রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ভাড়ারা ইউনিয়নের চরকণ্ঠগজরা এলাকায় পদ্মা নদীতে এ ঘটনা ঘটে। 

 

আটককৃতরা হলেন- পাবনা সদর উপজেলার ভাড়ারার শ্রীপুর এলাকার আব্দুল জলিল শেখের ছেলে আবুল হাসেম (৩৬), চক ভাড়ারার মৃত আবুল হোসেনের ছেলে ঈসমাইল হোসেন (৬০), লবু জোয়াদ্দার শেখের ছেলে সুরুজ জোয়াদ্দার (৩৬), পাবনার সুজানগর উপজেলার চর সুজানগরের মৃত জলিল শেখের ছেলে আলতাফ শেখ (৩০), মজিদ শেখের ছেলে জয়নাল শেখ (২৮), আব্দুল বাতেনের ছেলে রিপন শেখ (২৬), বাদশা শেখের ছেলে মোস্তফা শেখ (২৮), চর ভবানীপুর এলাকার বাবুল শেখের ছেলে হৃদয় শেখ (২২), শহীদ শেখের ছেলে রাকিব শেখ (২৫)। এরমধ্যে রাকিব গুলিবিদ্ধ এবং সুরুজ জোয়ার্দার গত ৪ আগস্ট পাবনা শহরে ছাত্র-জনতার ওপর হামলার মামলার আসামি।

 

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সরকারের পট পরিবর্তন সত্ত্বেও বালু খেকোরা সক্রিয় ছিল। প্রভাবশালী সিন্ডিকেটের মাধ্যমে কয়েকটি গ্রুপ পাবনা, রাজবাড়ী ও কুষ্টিয়ায় বালু উত্তোলন করে যাচ্ছিল। মাঝে কয়েকদিন কয়েকটি মিডিয়ায় সংবাদ প্রকাশের পর তা বন্ধ ছিল।

 

তবে কয়েকদিন আগে থেকে আবারও কুষ্টিয়ার কুমারখালীর কয়েকজনের একটি সিন্ডিকেট বালু উত্তোলন শুরু করে। তারা পাবনা ও রাজবাড়ীর অংশের বালুখেকোদের সবাইকে বাদ দেয়। এনিয়ে তাদের মধ্যে চাপা উত্তেজনা চলছিল। রোববার পার্শবর্তী রাজবাড়ী জেলার বাহাদুরপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী খানের পক্ষে সুরুজ ও ঈসমাইল নেতৃত্ব দিয়ে বালু তুলতে যান। এ সময় দুই গ্রুপের মধ্যে গোলাগুলি হয়। একপর্যায়ে রাজবাড়ী জেলার বাহাদুরপুর গ্রুপের লোকজন পাবনা থেকে যাওয়া ১০ জনকে বেধক পিটিয়ে বেঁধে রাখে। তারা পাবনা সদর থানা পুলিশকে খবর দিয়ে ধরিয়ে দেন।

 

রাজবাড়ী জেলার বাহাদুরপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী খান বলেন, আমার পার্শ্ববর্তী এলাকা হলেও কিছু জানি না। তাদেরকে চিনিও না, তারা পাবনার লোক। আমি নিজেই বালু উত্তোলনের বিপক্ষে। আমরা মানুষের জমিজমা রক্ষা করতে এবং বালু উত্তোলন বন্ধ করতে জেলা প্রশাসকদের কাছে আবেদন করেছি।’

 

রোববার রাতে পাবনা সদর থানার পরিদর্শক (ওসি-অপারেশন) আব্দুস সালাম বলেন, খবর পেয়ে আমরা সেখান গিয়ে আহত অবস্থায় ১০ জনকে আটক করেছি। ভাঙাচোরা দুটি অস্ত্র উদ্ধার করেছি। এরমধ্যে তিনজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।