ঢাকা মঙ্গলবার, ৯ই সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৬শে ভাদ্র ১৪৩২


ছয় মাসে সফল ফেনী মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ শামসুজ্জামান


৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১০:৪৪

সংগৃহিত

পুলিশের দর্শন এবং মূলনীতি হলো অপরাধ দমন এবং অনিয়মকে প্রতিহত করা। এই দর্শন এবং মূলনীতিকে কার্যক্ষেত্রে প্রয়োগের মাধ্যমে জনগণের জন্য নিরাপদ ও স্বাভাবিক রাষ্ট্র গঠন করা পুলিশের দায়িত্বের মধ্যেই পড়ে। বাংলাদেশের জনগণ প্রত্যাশা করে পুলিশ হবে জনমুখী। 

সেই প্রত্যাশা পূরণে ফেনী জেলার সদর মডেল  থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ শামসুজ্জামান থানায় যোগদানের ছয় মাসের মধ্যে নিজের সততা, মেধা, বিচক্ষণতা কর্মদক্ষতা ও মানবিকতার মাধ্যমে সদর উপজেলার সাধারণ মানুষের মন জয় ও পুলিশ বিভাগের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করতে সক্ষম হয়েছেন।

জানা যায়, ফেনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শামসুজ্জামান গত ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ খ্রিঃ তারিখে থানায় যোগদানের পরপরই তার কিছু ব্যতিক্রমী উদ্যোগে পাল্টে যায়  ফেনী মডেল থানার দৃষ্টিপট। তিনি প্রকাশ্যে উপজেলা মাসিক সভা ঘোষণা দিয়েই থানাকে সর্বপ্রথম ঘুষ ও দালাল মুক্ত করে সর্বসাধারণের জন্য পুলিশি সেবা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করেন।


থানায় সেবাপ্রার্থী সাধারণ মানুষ যেন কোন হয়রানির শিকার না হয় সেদিকে বিশেষ দৃষ্টি রাখেন। পুলিশি সেবা কে জনবান্ধব, হয়রানি ও দুর্নীতিমুক্ত করার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। আইনি সেবা দেওয়ার জন্য থানায় খোলা হয়েছে আলাদা আলাদা হেল্প ডেস্ক। যার সুফলও পাচ্ছেন সেবা প্রত্যাশী মানুষ। সার্বক্ষণিক তদারকিতে এখন থানায় জিডি কিংবা মামলা ও পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সেবা পেতে কোন টাকা লাগে না। সেবা প্রত্যাশীরাও এখন নির্বিঘ্নে সেবা নিতে পারছে।

ফেনী সদর মডেল  থানার ওসি মোহাম্মদ শামসুজ্জামান জানান, সুন্দর আচারণ ও পেশাদারিত্বের মাধ্যমে আইনগত সেবা প্রদানে আমরা বদ্ধপরিকর। মাননীয় পুলিশ সুপারের নির্দেশনায় বিট পুলিশিং এর মাধ্যমে আইন-শৃঙ্খলা স্বাভাবিক সহ অপরাধ নির্মূল করা সম্ভব হচ্ছে।

গত ছয়মাসে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাতটি হত্যা মামলা সহ মোট ২২টি মামলার পাঁচ শতাধিকের অধিক এজাহার নামীয় আসামী গ্রেফতার, আশিজন মাদক আসামী, পাঁচ শতাধিক ওয়ারেন্ট ভুক্ত আসামী গ্রেফতার সহ সন্ত্রাসী কার্যক্রম দমনসহ ধর্মীয় ও সামাজিক কাজে অংশগ্রহণে জনকল্যাণমুখী কাজের মাধ্যমে বেশ প্রশংসা অর্জন করেছেন।

তিনি আরো বলেন, পট পরিবর্তনের পরে সাধারণত যে পটভূমি তৈরি হয়েছিলো তা থেকে অনেকটাই মানুষের মধ্যে পুলিশের প্রতি শ্রদ্ধা ও আস্থা ফিরে এসেছে। তিনি আরো বলেন, মাননীয় পুলিশ সুপার এর নির্দেশনায় আমরা  বিট পুলিশিং কার্যক্রম আরো জোরদার করে উপজেলায় সন্ত্রাস ও মাদকসহ বিভিন্ন অপরাধ মূলক কর্মকাণ্ড বন্ধে অনেকটা সফল হয়েছি।

এলাকার দীর্ঘ দিনের বিরোধ মীমাংসা সহ এলাকার বহু পুরাতন বিভিন্ন সামাজিক সমস্যা এলাকার আইন শৃঙ্খলা রক্ষা, মাদক উদ্ধার, গ্রেপ্তারি পরোয়ানা তামিল, মানবিক পুলিশিং কার্যক্রম, কিশোর গ্যাং নিয়ন্ত্রণে দক্ষতা ও পেশাদারিত্বে অবদান রাখা বিট পুলিশিং এর মাধ্যমে সমাধান হয়েছে। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন, জুলুমবাজ, চাঁদাবাজি, ভূমিদস্যু , মাদক কারবারী নিয়ন্ত্রণ ও আইন শৃঙ্খলার ব্যাপক উন্নতি হয়েছে।