ঢাকা সোমবার, ২১শে এপ্রিল ২০২৫, ৯ই বৈশাখ ১৪৩২


নেতাদের বিদেশ যাত্রা বিএনপির রাজনৈতিক দৈন্যতা


১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০২:৫৪

বিএনপি নেতাদের বিদেশ যাত্রা তাদের রাজনীতির দৈন্যতারই বহিঃপ্রকাশ বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।

বৃহস্পতিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) ধানমন্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ের নতুন ভবনে আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা উপ-কমিটির নিয়মিত বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, আমরা রাজনীতি করি জনগনের জন্য। আমাদের কোন বক্তব্য বা অভিযোগ থাকলে তা আমরা জনগনকে বলি। বিএনপি জাতিসংঘে যাওয়ার মাধ্যমে এটিই প্রমাণ করেছে বাংলাদেশের মানুষের উপর তাদের কোন আস্থা নাই। তারা(বিএনপি) নালিশ দেশের জনগনকে না দিয়ে বিদেশে গিয়ে বিদেশীদের কাছে উপস্থাপন করছে। এটি তাদের রাজনীতির দৈন্যতারই বহিঃপ্রকাশ এবং জনগনের উপর তাদের আস্থাহীনতারই বহিঃপ্রকাশ।

সাবেক বন ও পরিবেশ মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার সুবিধার্থে কারা অভ্যন্তরে যে আদালত স্থাপন করা হয়েছে সেখানে তিনি গতকাল হাজির হননি। অথচ এই মামলার বিচারিক কার্যক্রম শুরু হওয়ার কথা ছিল আরও ছয় মাস আগে কিন্তু বেগম জিয়া ও তার আইনজীবিরা তার অসুস্থতার অজুহাত দেখিয়ে বেগম জিয়া এবং তার আইনজীবিরা তাকে আদালতে হাজির করেননি। প্রকৃতপক্ষে দেশের আইন ও আদালত বেগম জিয়া, বিএনপি এবং তাদের আইনজীবি প্যানেল কতৃক প্রচন্ডভাবে হেনস্তার স্বীকার। আমরা আশা করবো বিএনপি দেশের আইন এবং আদালতকে সমুন্নত রাখার ক্ষেত্রে কাজ করবে।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কর্ণেল তাহেরের বিচার এবং বেগম খালেদা জিয়ার জন্য আদালত স্থাপন দুটি ভিন্ন। কর্ণেল তাহেরের বিচার হয়েছিল ক্যামেরা ট্রায়াল। জনসাধারণের প্রবেশ সেখানে নিষিদ্ধ ছিল এমনকি সাংবাদিকদেরও সেখানে প্রবেশাধিকার ছিলো না। প্রকৃতপক্ষে সেটি গোপন বিচার করা হয়েছিল। আর বেগম খালেদা জিয়াকে যেখানে রাখা হয়েছে তার কাছাকাছি একটি পরিত্যক্ত ভবনে তার সুবিধার্থে অাদালত স্থাপন করা হয়েছে। সেটি একটি ওপেন অাদালত যেখানে আইনজীবি, সাংবাদিকসহ সবাই যেতে পারেন।তিনি আরো বলেন বেগম জিয়াকে যেই ভবনে রাখা হয়েছে সেই ভবনটি পরিত্যক্ত কারাগারের একটি ভবনকে কারাগার ঘোষনা করে রাখা হয়েছে।কিন্তু যেই ভবনে আদালত স্থাপন করা হয়েছে সেটি একটি পরিত্যক্ত ভবন মাএ কারাগারের কোন অংশ নয়।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপ প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিনসহ প্রচার ও প্রকাশনা উপ-কমিটির সদস্যবৃন্দ।

এসএ