ঢাকা বৃহঃস্পতিবার, ২৮শে মার্চ ২০২৪, ১৫ই চৈত্র ১৪৩০


খালেদা জিয়ার আদালত কেরানীগঞ্জ স্থাপনের বিরুদ্ধে রিটের হুশিয়ারী মওদুদের


২২ মে ২০১৯ ০০:৪৪

নতুনসময় ছবি

আদালতে রিট করবো যাতে আদালত কেরানীগঞ্জ স্থাপন করা না হয় বলে মন্তব্য করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ।

মঙ্গলবার (২১মে) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সাংবাদিক শওকত মাহমুদের সভাপতিত্বে বাংলাদেশ পেশাজীবি পরিষদের আয়োজিত খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তি ও সু-চিকিৎসা এবং নি:শর্ত মুক্তি ও গনতন্ত্র পুন:প্রতিষ্ঠার দাবিতে মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।

মওদুদ বলেন, নতুন একটা ষড়যন্ত্র হচ্ছে, খালেদা জিয়াকে হাসপাতাল থেকে কেরানীগঞ্জ নিয়ে যাওয়া হবে। এবং তার বিচার আদালত কেরানীগঞ্জ স্থাপন করা হবে। এটা একটা অমানবিক কাজ। আমরা আদালতে রিট করবো যাতে আদালত কেরানীগঞ্জ স্থাপন করা না হয়। তিনি আরও বলেন, গনতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে খালেদা জিয়ার নেতৃত্ব প্রয়োজন। তাই খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে তার নেতৃত্বে গনতন্ত্র পুন:প্রতিষ্ঠা করতে হবে। বেগম জিয়ার বর্তমান যে অবস্থা তার দায় সরকারকে নিতে হবে। সরাকার ষড়যন্ত্র করে বেগম জিয়াগে জেলে রেখে এই অবস্থা করেছে। তাকে সু-চিকিৎসা না দেওয়ার কারনে আজ বেগম জিয়ার এ অবস্থা।

এছাড়াও তিনি বলেন, সরকার সংবিধান লঙ্ঘন করেছে। একজন নাগরিকের যে অধিকার তা থেকে সরকার বেগম জিয়াকে বঞ্চিত করেছে। এসময় মওদুদ আহমেদ সকলকে আন্দোলনের প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানান। খন্দকার মাহবুব বলেন, খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলা, মিথ্যা সাক্ষি দিয়ে সরকার জেলে রেখে দিয়েছে। খালেদা মুক্তি পাবেন লাখো জনতার ডলের মাধ্যমে। তখন এ সরকার জেলে যাবে।আলাপ আলোচনার মাধ্যমে বেগম জিয়াকে মুক্ত করা যাবে না। খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হলে সকলকে সম্মেলিত একসাথ হয়ে রাজপথে আন্দোলন করতে হবে।

নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদ রহমান মান্না বলেন, যে দিন বেগম জিয়া জেলে গেছেন, সেদিন লাখো ছাত্র তার গাড়ি বহরের পিছনে জেলগেট পর্যন্ত গেছে। আবারও সে লাখো ছাত্রকে রাজপথে দেখতে চাই। বর্তমান সরকার ডাকাতদের সরকার, এ সরকার মিথ্যা কথা বলে, আজ কৃষক নিজে তার ক্ষেতে আগুন দিচ্ছে। পাটকল বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। কেউ নিরাপদ নেই এ সরকারের কাছে।

গণস্বাস্থ্যের প্রতিষ্ঠাতা ডা জাফরুল্লাহ বলেন, প্রধানমন্ত্রী একজন দু:খি মানুষ কারন তিনি ভারতীয় এবং ইসরাইলী বাহিনীর কাছে বন্দী। তিনি দিনের আলো দেখেন না। প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আল্লাহ যখন আপনাকে জিজ্ঞেস করবেন, হাসিনা আপনি কোন ভালো কাজ করেছেন কি না তখন আপনি কি জবাব দিবেন। তাই বেগম জিয়াকে মুক্তি দিয়ে আপনি ভালো কাজ করেন।

ডিইউজে সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বলেন, দেশের প্রতিটা সেক্টরে দুর্নীতি, অর্থনীতির করুন অবস্থা বিরাজ করছে। সরকার ষড়যন্ত্র করে বেগম জিয়াকে জেলে আটক করে রেখেছে। তাই বেগম জিয়াকে মুক্ত করতে হলে আন্দোলনে বিকল্প নেই।

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, খন্দকার মাহবুব হোসেন, গণস্বাস্থ্যের প্রতিষ্ঠাতা ডাক্তার জাফরুল্লাহ, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, ডিইউজে সভাপতি কাদের গনি, সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলামসহ পেশাজীবি পরিষদের নেতৃবৃন্দ।’

নতুনসময়/আল-এম