ঢাকা শুক্রবার, ২৯শে মার্চ ২০২৪, ১৬ই চৈত্র ১৪৩০


সবদিকে ব্যর্থতা থাকলেও লুটপাটে সার্থক বর্তমান সরকার অভিযোগ গয়েশ্বরের


২৬ এপ্রিল ২০১৯ ০১:০১

মানববন্ধনে গয়েশ্বর

সবদিকে ব্যর্থতা থাকলেও লুটপাটে সার্থক বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সাখাওত ইবনে মঈনের সভাপতিত্বে বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক এসোসিয়েশন এর আয়োজনে গণমাধ্যম বিরোধী কালো আইন বাতিল, সাংবাদিক হত্যার বিচার, বন্ধ গণমাধ্যম খুলে দেয়া এবং বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে এক মানববন্ধনে তিনি এ মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, জাতির বিবেক যখন নেত্রীর মুক্তির কথা বলে। তখন বুঝতে হবে দেশ কোথায় আছে। যেখানে দেশের কোন শ্রেনীর মানুষ নিরাপদ নয়। গণতন্ত্র অনেক আগেই কবর দিয়েছে তারা। জানাজার অপেক্ষা রাখে নাই।

তিনি আরো বলেন, এই নির্লজ্জ বেহায়া সরকারের কাজ হল মানুষের মুখ বন্ধ করে তাদের অধিকার হরণ করা। তাদের লুটপাটের স্বর্গ রাজ্য কায়েম করা। সবদিকে ব্যর্থ হলেও লুটপাটের দিকে তাদের ব্যর্থতা নেই। লক্ষ কোটি টাকা তারা বিদেশে পাচার করছে। ব্যাংকে লিকুইড মানি নেই। ব্যাংক শিল্পে বিনিয়োগ করতে পারছে না। যারা ব্যাংকের টাকা লুট করে বিদেশে পাচার করে। তাদের উন্মুক্ত করার জন্য নতুন নতুন আইন তৈরি করছে।

এছাড়াও তিনি আরো বলেন, আজকে সাংবাদিকরা একটা কথা জানতে চান। জাহিদ হোসেন দাবিদার তিনি নির্বাচনে জয় লাভ করেছেন। ধানের শীষ থেকে পাস করে তিনি আজ শপথ গ্রহণ করছেন। জনগণের সঙ্গে যিনি থাকতে পারেন না। তিনি কোথায় শপথ নিলেন আর কোথায় নিলেন না এটা বিবেচনার বিষয় না। ১৬ কোটি মানুষ ভোট দিতে পারেননি। একথা আমার না। আপনাদের সকলের কথা। যারা আওয়ামী লীগ করে তাদের ৫ শতাংশ লোকও ভোট দিতে পারেনি। জনগণ যেখানে বলছে তারা ভোট দিতে পারেনি। সেই সংসদের ৩০০ আসনে কেউ জয়লাভ করতে পারে না, পারেনাই এবং কেউ পরাজিতও হয়নাই। সুতরাং দলের আদর্শ, দলের সিদ্ধান্ত এবং নেত্রীকে জেলখানায় রেখে কেউ যদি শপথ নিয়ে থাকে বা ভবিষ্যতে নেয় তারা জাতীয়তাবাদী শক্তির সঙ্গে চলার যোগ্যতা রাখেনা। তাদের বিচার জনগণই সময়মতো করবে। তার জন্য অপেক্ষা করতে হবে।

তিনি বলেন, আমাদের দলের সিদ্ধান্ত সংসদে যাব না। যদি কেউ দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করে সংসদে যায় তিনি দলের লোক হিসেবে গণ্য হবেনা। তিনি আরো বলেন , আমরা এই শপথ গ্রহণে ক্লান্ত নয়। ভীত নয়। ৩০০ আসনের কেউ নির্বাচিত না। এই ৩০০ জনও জদি এক জায়গায় এসে চিৎকার করে বলে আমরা নির্বাচিত। তাতে জনগণ যে থুথু মারবে। সেই থুথু ঢলে তারা ভেসে যাবে। সেইদিনই তারা বুঝতে পারবে জনগণের সঙ্গে প্রতারণার পরিণতি কি?

আরো বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদ, নিতাই চন্দ্র রায়, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবীব, নির্বাহী কমিটির সদস্য শাহ মো. আবু জাফর, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি কাদের গণি চৌধুরী প্রমুখ