যুদ্ধ করেছি এবার প্রজন্ম গড়তে চাই

বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সাবেক অতিরিক্ত আইজিপি মতিউর রহমান রাজশাহী-১ (তানোর ও গোদাগাড়ী) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে মাঠে আছেন। কেন্দ্রীয় নেতাদের সাথে যোগাযোগসহ তৃণমুলের নেতা-কর্মীদের নিয়ে নিয়মিত গণসংযোগ করছেন তিনি।
জোরালো সম্ভাব্য এ প্রার্থী নতুন সময়কে জানান, ৭১’র মহান মুক্তিযুদ্ধের রণাঙ্গন থেকেই দেশের সেবা করছেন। বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সাবেক অতিরিক্ত আইজিপি মতিউর রহমান বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় ৭ নং সেক্টরে সরাসরি অস্ত্র হাতে পাকিস্থানিদের বিরুদ্ধে লড়াই করে দেশের স্বাধীনতা ছিনিয়ে এনেছেন। এরপর ১৯৭৩ সালে বিসিএস ক্যাডার হয়ে বাংলাদেশ পুলিশে যোগ দিয়ে দেশ ও জাতীর সেবা করেছেন।
১৯৯৬ সালে আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর তিনি পুলিশের অতিরিক্ত আইজিপি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় আসার পর পাচ বছর চাকরী থাকার পরও তাকে অবসরে যেতে বাধ্য করা হয়। পুলিশে চাকরিরত অবস্থায় তার বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ আসেনি, প্রশ্নবিদ্ধও হয়নি। অবসরের পরে তিনি আ’লীগের কেন্দ্রীয় নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য হয়ে আছেন। এছাড়া তিনি রাজশাহী জেলা আ’লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য।
তিনি বলেন, তানোর_গোদাগাড়ীতে সৎ ইমেজের জন্য তার ব্যাক্তিগত জনপ্রিয়তা রয়েছে। আর এই অঞ্চলের আগামী প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এবং বঙ্গবন্ধুর আদর্শে গড়ে তুলার স্বপ্ন আছে। এ এলাকার নিরিহ এবং সাধারণ মানুষ তাকে এমপি হিসেবে দেখতে চায়। অর্থনীতি বিভাগে মাষ্টার্স করা বীর মুক্তিযোদ্ধা মতিউর আরো বলেন, আমি এমপি হলে সুবিধা বঞ্চিত তানোর_গোদাগাড়ীর দরিদ্র মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য ছোট, বড় ও মাঝাড়ী ধরনের শিল্প-কারখানা গড়ে তুলবেন। সেই সাথে এলাকার প্রতিটি রাস্তাঘাট মেরামতসহ নির্মাণে অধিক গুরুত্ব দিবেন তিনি।
তিনি বলেন, বর্তমান বিশ্বের সফল রাষ্ট্র নায়ক শেখ হাসিনার নেতৃত্বকে শক্তিশালী করতে আ’লীগের হয়ে সারাজীবন কাজ করে যাব। সৎ,যোগ্য এবং তৃণমুলের জনপ্রিয়তার দিকে নজর রাখলে তিনিই আ’লীগের এমপি প্রার্থী হিসেবে মনোনিত হবেন। বর্তমানে এ আসনের সাংসদ ওমর ফারুক চৌধুরী ছাড়াও রয়েছে ছয়জন আ’লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী। তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজন মাঠে আছেন। এছাড়া দলে রয়েছে আভ্যন্তরীন কোন্দল। শেষ পর্যন্ত মনোনয়ন পেলে এই বিরোধ কোন সমস্যা হবে কিনা জানতে চাইলে বীর মুক্তিযোদ্ধা মতিউর বলেন, রাষ্ট্র নায়ক শেখ হাসিনা নৌকা প্রতীক যাকে দেবেন, সবাই শেষ পর্যন্ত তার হয়ে কাজ করবে। এতে কোন সংশয় নেই।
এসএ