ঢাকা মঙ্গলবার, ১৯শে মার্চ ২০২৪, ৬ই চৈত্র ১৪৩০


বিএনপিকে কড়া ভাষায় যা বললেন বার্নিকাট


২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ২২:১৭

ছবি সংগৃহীত

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মঈন খানের গুলশানের বাসায় কূটনীতিকদের সম্মানে মঙ্গলবার রাতে নৈশভোজের আয়োজন করা হয়। নৈশভোজের আয়োজন করা হলেও মূলত সেখানে চলমান রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।

এতে বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাট ছাড়াও নরওয়ে, নেপাল, জাপান, নেদারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত, ডাকসুর সাবেক ভিপি সুলতান মুহাম্মদ মনসুর উপস্থিত ছিলেন। বিএনপি নেতাদের মধ্যে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ড. আবদুল মঈন খান, ভাইস চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেন চৌধুরী, আবদুল কাইয়ুম উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠকে জাতীয় ঐক্য নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি সম্প্রতি কোনো ঘটনা ছাড়াই হাজার হাজার নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলার বিষয়টিও কূটনীতিকদের অবহিত করে বিএনপি। এছাড়া আগামী নির্বাচন নিয়েও বিএনপি তাদের অবস্থান তুলে ধরে।

দলটির নেতারা বলেন, নির্বাচনী পরিবেশ তৈরি হলে বিএনপি এতে অংশ নেবে। কিন্তু সরকার সেদিকে কোনো নজর দিচ্ছে না। এ সময় বৃহত্তর জাতীয় ঐক্য নিয়ে আলোচনা হয়। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে ও ভোটের অধিকার রক্ষায় এ ঐক্য করা হয়েছে বলে জানানো হয়। এছাড়া দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি প্রক্রিয়া বিলম্ব, মিথ্যা মামলায় তাকে সাজা দেয়া, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ বিরোধী রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে হয়রানি করার অভিযোগ করেন তারা।

বিএনপি নেতাদের এসব অভিযোগের পর বৈঠকে মার্কিন দূতাবাসের পক্ষ থেকে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয় যে, বিএনপিকে জামায়াত ত্যাগের জন্য আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিতে হবে। একই সাথে ২০ দলের মধ্যে যে দলগুলো সাম্প্রদায়িক, ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দল হিসেবে চিহ্নিত, তাদের পরিত্যাগ করার জন্যও বিএনপিকে পরামর্শ দেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত।

জামাতসহ ধর্মভিত্তিক দলগুলো পরিত্যাগের বিষয়ে বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এই ব্যাপারে তারা দলীয় ফোরামে সিদ্ধান্ত নেবে। কিন্তু মার্কিন দূতাবাস থেকে বলা হয়েছে, বিএনপির ২৯ তারিখের জনসভায় যদি তারা জামায়াত ও অন্যান্য ধর্মভিত্তিক উগ্রপন্থী দলগুলো পরিত্যাগের বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো ঘোষণা না দিতে পারে তাহলে এই ঐক্য প্রক্রিয়া বিঘ্নিত হবে এবং বিএনপির ঐক্য প্রক্রিয়ার অংশগ্রহণ বিষয়ে মার্কিন পৃষ্ঠপোষকতা প্রত্যাহার করা হবে। তখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বি. চৌধুরীর যুক্তফ্রন্ট ও ড. কামাল হোসেনের জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়া নিয়েই এগোবে বলে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছে মার্কিন দূতাবাস।

আরকেএইচ