জুডিশিয়াল ক্যুতে ব্যর্থ হয়ে নতুন ষড়যন্ত্রে নেমেছে যুক্তফ্রন্ট: নাসিম

জুডিশিয়াল ক্যুতে ব্যর্থ হয়ে যুক্ত ফ্রন্ট নতুন ষড়যন্ত্রে নেমেছে বলে মন্তব্য করেছেন ১৪ দলের মুখপাত্র ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম।
শনিবার (১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে ১৪ দলের এক সভা শেষে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, অত্যন্ত ঘৃণার সঙ্গে জানাতে হয়_ জুডিশিয়াল ক্যু করার চেষ্টা হয়েছিল, যা প্রকাশিত। একজন বিশিষ্ট আইনজীবী, বিশিষ্ট আইনজ্ঞ কিভাবে একজন সাবেক বিচারপতিকে ব্যবহার করে জুডিশিয়াল ক্যু করে পাকিস্তানের মতো অবস্থা সৃষ্টি করতে চেয়েছিলেন। পাকিস্তানে আজ যে অবস্থা ঠিক একই অবস্থা সৃষ্টি করতে চেয়েছিল বাংলাদেশে।
শেখ হাসিনা ও চৌদ্দ দলের দৃঢ়তায় সেই ষড়যন্ত্র ব্যর্থ হয়ে যায়। এখন আবার সেই মহল নতুন চক্রান্ত করে নির্বাচনকে দীর্ঘায়িত করার চেষ্টায় লিপ্ত।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, যখনই নির্বাচন আসে, ভোটের মাধ্যমে জনগণের রায়ের সময় আসে, তখনই মুখ চেনা মহল তৎপর হয়ে ওঠে। যেমন ২০১৪ সালে নির্বাচনের সময় এই অশুভ মহলটি জ্বালাও পোড়াও করেছে খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে। ঠিক আবার যখন নির্বাচনের সময় হয়েছে তখন সেই মুখ চেনা মহল তৎপর হয়ে উঠেছে।
তথ্য প্রযুক্তির সময়ে নির্বাচনে কোন কারচুপি করার সুযোগ নেই মন্তব্য করে তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন ঘোষণা করেছে ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে নির্বাচন হবে। সেই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে স্বাভাবিক নিয়মে উৎসাহ উদ্দীপনা নিয়ে দেশের জনগণ অপেক্ষা করছেন। নির্বাচন যথা সময়ে হবে, এর অন্যথা নয়।
‘বর্তমান সরকারকে হটানোই বিএনপির শপথ’ বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামের এমন বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, কোন দল বা গোষ্টি নয়, জনগণই একমাত্র সরকারকে হঠানোর ক্ষমতা রাখে। তাই মির্জা ফখরুল ইসলামের স্বপ্ন দুঃস্বপ্নে পরিণত হবে।
‘সংবিধানের বাইরে নির্বাচন হতে পারে’ বিএনপি নেতা মওদুদ আহমেদের এমন বক্তব্যের জবাবে তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের অধীনেই নির্বাচন হবে। সংবিধান বাইরে কোনো কাজ বাংলাদেশে হবে না। ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে নির্বাচন হবে । তাই আমরা আন্তরিকভাবে চাই নির্বাচনে সবাই অংশগ্রহণ করুক।
নির্বাচনের আগে বিএনপির সঙ্গে সংলাপ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কোনও অর্থহীন সংলাপের পক্ষে আমরা নই। সংলাপের অর্থই হল নির্বাচনকে পেছানো এবং অসাংবিধানিক সরকার গঠন করা। সেই স্বপ্ন আর পূরণ হবে না ।
বিএনপির সমাবেশ করার অনুমতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এটা সম্পূর্ণ প্রশাসনের সিদ্ধান্ত। এখানে আমাদের কোন হাত নেই। বিএনপিকে অনুমতি দিলেও দোষ, না দিলও দোষ বলেও জানান তিনি।
১৪ দল সেপ্টেম্বর থেকে অক্টোবর পর্যন্ত মাঠে নামবে জানিয়ে তিনি বলেন, একাত্তরের ঘাতকদের নির্বাচনে পরাজিত করার মাধ্যমে গণতন্ত্রের বিজয়ের জন্য কাজ করবে ১৪দল। তাই এই মুখ চেনা মহল যে চক্রান্ত করছে সেই বিষয়ে ১৪ দলকে সতর্ক থাকারও আহ্বান জানান তিনি।
এছারাও বর্ধিত সভায় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, জাসদ একাংশের সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার, আওয়ীলীগের উপ দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, গণ আজাদী লীগের প্রেসিডেন্ট শেখ শহীদুল ইসলাম প্রমুখ।
আইএমটি