ঢাকা বৃহঃস্পতিবার, ২৮শে মার্চ ২০২৪, ১৫ই চৈত্র ১৪৩০


তারেক-কামালের গোপন চুক্তিতে যা রয়েছে


২১ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০০:৪৭

ফাইল ছবি

বিএনপির সঙ্গে গণফোরাম নেতা ড. কামাল হোসেনের সঙ্গে ৭টি গোপন চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে। এই চুক্তিপত্র অনুযায়ী আগামী জাতীয় নির্বাচনে ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে অংশ নেবেন তারা।

বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, গণফোরাম নেতা ও সংবিধান প্রণেতা ড. কামাল হোসেনের জামাতা ডেভিড বার্গম্যানের মধ্যস্থতায় এই চুক্তি সম্পন্ন হয়। এই চুক্তি চূড়ান্ত হবার পর বুধবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বিএনপি আনুষ্ঠানিকভাবে ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্ব মেনে নেওয়ার ঘোষণা দেয়।

বিএনপির অধিকাংশ সিনিয়র নেতা, অন্য কোন দলের নেতৃত্বে যাবার ঘোরবিরোধী ছিলেন। বরং তারা বলছিল, কোনো ঐক্য করতে গেলে তার নেতৃত্ব বিএনপি থেকেই আসতে হবে। এ নিয়ে ঐক্যতে অনিশ্চয়তাও তৈরি হয়েছিল। তবে, তারেক রহমানের হস্তক্ষেপে শেষ পর্যন্ত ঐক্য প্রক্রিয়ায় বিএনপির যোগদান নিশ্চিত হয়েছে।

এটা মূলত আগামী জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে গঠন করা হয়েছে নির্বাচনী জোট। এই ঐক্য প্রক্রিয়া ‘নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে আন্দোলন করবে ঘোষণা দিলেও শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে যাবে বলেই জানা গেছে।

ড. কামাল হোসেন এবং তারেক জিয়া দু’জনই একার নিশ্চিত যে, ঐক্যবদ্ধ নির্বাচন করলে, আওয়ামী লীগ নির্বাচনে হেরে যাবে। বিভিন্ন সূত্র নিশ্চিত করেছে, ৭ দফা সমঝোতার ভিত্তিতে বিএনপি ড. কামাল হোসেন ঐক্য হয়েছে। এই ৭ দফা চুক্তির মূল বিষয়গুলো নতুনসময় পাঠকদের উদ্দেশ্যে তুলে ধরা হলো:

১. ড: কামাল হোসেন হবেন ঐক্য প্রক্রিয়ার প্রধান নেতা

২. ঐক্য প্রক্রিয়ার স্বার্থে নির্বাচন পর্যন্ত সময়ে তারেক জিয়া নেপথ্যে থাকবেন। বিএনপির নেতৃত্ব দেবেন ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন অথবা মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

৩. নির্বাচনে ১০০ থেকে ১২৫ টি আসন বিএনপি তার শরিকদের ছেড়ে দেবে। এই ছেড়ে দেওয়া আসনে অন্তত ১৫টি সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের দেওয়া হবে।

৪. নির্বাচনে জয়ী হলে ড. কামাল হোসেন হবেন প্রধানমন্ত্রী।

৫. ড. কামাল হোসেনের সরকার স্বল্পতম সময়ের মধ্যে বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করার ব্যবস্থা করবে, তাঁর বিরুদ্ধে সব মামলা প্রত্যাহার করবে, তারেক জিয়াকেও মুক্তভাবে দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করবে। বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহাকে দেশে ফিরিয়ে আনা হবে।

৬. নির্বাচনে জয়ী হলে বর্তমান সংবিধান সংশোধন করা হবে। প্রধানমন্ত্রী এবং রাষ্ট্রপতির ক্ষমতার ভারসাম্য প্রতিষ্ঠা করা হবে। নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠা করা হবে।

৭. দুই বছর পর ড. কামাল বিএনপির কাউকে প্রধানমন্ত্রীত্ব দিয়ে পদত্যাগ করবেন।

জানা গেছে, এই গোপন চুক্তি আপাতত প্রকাশ করা হবে না। কেবলমাত্র নির্বাচনে জয়ের পরই এই চুক্তি প্রকাশিত হতে পারে।

এমএ