ঢাকা শনিবার, ২০শে এপ্রিল ২০২৪, ৭ই বৈশাখ ১৪৩১


৭ম জাতীয় কংগ্রেস সামনে রেখে আহমেদ উল্লাহ মধুর প্রত্যাশা


২০ নভেম্বর ২০১৯ ০২:৫১

ফাইল ছবি

শুদ্ধি অভিযানের মতো বড় ধাক্কার পর কেমন হবে যুবলীগের কমিটি- সেই আলোচনা এখন সর্বত্র। আগামী ২৩ নভেম্বর বেলা ১১টায় রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে যুবলীগের জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। এতে প্রধান অতিথি থাকবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। ঢাকা মহানগর দক্ষিণের যুবলীগের অনেক নেতাও রয়েছেন দৌড়ের ওপর। সার্বিক পরিস্থিতিতে প্রথমবারের মতো যুবলীগের দোর্দণ্ড প্রতাপশালী চেয়ারম্যান ওমর ফারুককে ছাড়াই অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এবারের যুবলীগের কাউন্সিলে বড় ধরনের পরিবর্তন আসবে কমিটিতে, এটি নিশ্চিত। ক্যাসিনো ব্যবসায়ী, দুর্নীতি ও টেন্ডারবাজ, চাঁদাবাজ নেতারা বাদ পড়বেন।

যুবলীগের ওপর বয়ে যাওয়া ঝড় সামনে রেখে জোর প্রস্তুতি চলছে ৭ম জাতীয় কংগ্রেসের ۔ আগামী ২৩ নভেম্বর সম্মেলনকে সামনে রেখে চলছে জোর প্রস্তুতি ۔ সম্মেলনকে সফল ও সার্থক করতে চলছে নেতা কর্মীদের আলোচনা ۔ ক্যাসিনো কাণ্ডে জড়িত কাওকেই ছাড় দেয়নি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ۔ সদ্য বহিস্কৃত যুবলীগের সভাপতি ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট সহ ক্যাসিনো কাণ্ডে জড়িত সবাইকে আইনের আওতায় নেয়া হয়েছে ۔ যুবলীগের ওপর বয়ে যাওয়া ঝড়ের মধ্যেই ২৩ তারিখের সম্মেলন সফল করতে চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি ۔ আলোচনা সমালোচনার মদ্ধ দিয়েই হবে ২৩ তারিখের সম্মেলন ।
নেতৃত্বে আনা হবে ক্লিন ও স্বচ্ছ ভাবমূর্তির নেতাদের। ইতিমধ্যে নতুন নেতৃত্বের সন্ধান শুরু করেছেন খোদ আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এতে সার্বিক সহযোগিতা করছে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা। প্রধানমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ নেতারা জানিয়েছেন, যুবলীগের নেতৃত্ব নির্বাচনের ক্ষেত্রে পরিচ্ছন্ন ইমেজকে প্রাধান্য দেবেন প্রধানমন্ত্রী। কারণ এই সংগঠনের বর্তমান ভাবমূর্তি তলানিতে এসে ঠেকেছে। এখন এমন নেতা প্রয়োজন, যারা ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধার ও সেটা ধরে রাখবেন।


নতুন সময় টেলিভিশনের একান্ত সাক্ষাৎকারে ঢাকা মহানগর যুবলীগ দক্ষিণের সহ সভাপতি আহমেদ উল্লাহ মধু বলেন ক্যাসিনো কাণ্ডে জড়িতদের সকলকে আইনের আওতায় এনে প্রধানমন্ত্রী যে পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন তাতে বাংলাদেশের মানুষ অত্যন্ত খুশি হয়েছে , আগামী সম্মেলন সামনে রেখে আমাদের সবার প্রস্তুতি অনেক ۔ আমাদের আশা প্রত্যাশা যে একটু বেশি । আমরা চাই আগামী ২৩ নভেম্বর যে সম্মেলন এই সম্মেলনে যে অনু প্রবেশকারী বহিরাগতরা যেন না আসতে পারে , সেই সঙ্গে ক্লিন ইমেজ ও কর্মীর প্রতি ভালোবাসা সম্পন্ন ব্যাক্তি যেন আমাদের কাছে আসে সেই প্রত্যাশা সব সময় করি । আমাদের নেত্রী অবশ্যই সেই দিক বিবেচনা করেই যুবলীগকে আগামীতে নতুন নেতৃত্বের হাতে তুলে দিবেন এটাই আমাদের প্রত্যাশা ।

আহমেদ উল্লাহ মধুঃ ঢাকা মহানগর যুবলীগ দক্ষিণের সহ সভাপতি হিসেবে বর্তমানে দ্বায়িত্ব পালন করছেন, হাজী আহমদ উল্লাহ মধুর ১৯৮৪-১৯৯০ সাল পর্যন্ত ছাত্রলীগের বিভিন্ন পদে থেকে ওয়ার্ড ও থানার দায়িত্ব পালন করেন।