ঢাকা বৃহঃস্পতিবার, ২৫শে এপ্রিল ২০২৪, ১২ই বৈশাখ ১৪৩১


‘পাপের ফল ভোগ করছে বিএনপি’


৩ নভেম্বর ২০১৯ ০৫:৫৪

আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, ক্ষমতায় থাকতে বিএনপি যেসব অপকর্ম করেছে, এখন দলটির প্রধান খালেদা জিয়াসহ নেতাকর্মীরা তা ভোগ করছে। 
 
শনিবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যা ভিনিউতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সম্মেলন উপলক্ষে অভ্যর্থনা উপ-কমিটির এক সভায় এ কথা জানান তিনি।
 
মোহাম্মদ নাসিম বলেন, ‘বিএনপির নেতারা বলেছেন, দুর্নীতির কারনে না কি আওয়ামী লীগ ধ্বংস হয়ে যাবে। আপনারা তো দুর্নীতিতে রেকর্ড সৃষ্টি করেছেন। দুর্নীতির দায়ে আপনাদের নেত্রী কারাগারে। সুতরাং আপনাদের এ কথা মানায় না।’
 
“উপমহাদেশে শেখ হাসিনাই বাংলাদেশের একমাত্র নেত্রী যিনি যে কোনো দুর্বৃত্তায়নের বিরুদ্ধে, দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করছেন নিজের দল থেকে নিজের ঘর থেকে এবং সেটি অত্যন্ত কঠোরভাবে; যেখানে কারো মুখ দেখছেন না। এই সাহসটি কেউ দেখিয়েছেন? আমার মনে হয় না তৃতীয় বিশ্বে কেউ এমন সাহস দেখিয়েছেন।”
 
তিনি বলেন, ‘আমাদের নেত্রী অসম্ভবকে সম্ভব করেছেন। বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার করেছেন, চার নেতা হত্যার বিচার করেছেন, একাত্তরের ঘাতকদের বিচার করেছেন, যারা বিএনপির সময়ে আশ্রয় পেয়েছে, প্রশ্রয় পেয়েছে। সুতরাং বিএনপি নেতকাদের মুখে কথা এসব কথা মানায় না।”
 
আওয়ামী লীগের শাসনামলে কোনো অপরাধী রেহাই পাচ্ছে না উল্লেখ করে দলটির এই নীতি নির্ধারক বলেন, ‘সম্প্রতি সময়ে নুসরাত হত্যার রেকের্ড সময়ে মধ্যে বিচার করে দায়ীদের মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছে। কাউকে রেহাই দেয়া হয়নি। বুয়েটের আবরার হত্যায় অনেক অনুপ্রবেশকারী ছিলো। ওই ঘটনায় জড়িতদেরও  দ্রুত বিচারের আওতায় এনে চার্জশীট দেয়া হয়েছে। আপনারা (বিএনপি) একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলার বিচার করেন নি। আপনাদের পাপের ফল এখন খালেদা জিয়াসহ আপনাদের ভোগ করতে হচ্ছে। পাপ কখনো বাপকেও ছাড়ে না।’
 
তিনি বলেন, ‘বিএনপির আমলে অনেক খুনিদের বিচার না করে তাদের বাঁচিয়ে দেয়া হয়েছে। দলটির নেতা ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ এটি করেছেন। আজকে তিনি বড় বড় কথা বলেন।’
 
“আপনারা ভয় পেয়েছেন। কারন অপকর্মকারীদের বিচার হচ্ছে। ইস্যু না পেয়ে এখণ উল্টোপাল্টা কথা বলছেন। এখন বলছেন, পতন হবে। আরে শকুনের দোয়ায় গরু মরে না।”
 
এ সময় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক দীপু মনি, সাবেক মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, সাবেক খাদ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক শামীম আহমেদ, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রিয়াজুল কবির কাওছার, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
 
নতুনসময়/আইকে