ঢাকা মঙ্গলবার, ২২শে এপ্রিল ২০২৫, ১০ই বৈশাখ ১৪৩২


আ.লীগের মনোনয়ন চান আফজাল


১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০৩:১৫

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বরিশাল-৪ (মেহেন্দিগঞ্জ-হিজলা-কাজিরহাট) আসনে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন চান অ্যাডভোকেট আফজালুল করিম।

তিনি বলেন , সরকারি বরিশাল কলেজ ছাত্রলীগ সভাপতি ও কলেজ ছাত্র সংসদে পর পর দুই বার নির্বাচিত জিএস, জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক, জেলা যুবলীগের যুগ্ম-আহবায়ক, জেলা আওয়ামী লীগের আইন ও ত্রাণ বিষয়ক সম্পাদক এবং মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহবায়ক ছিলাম।
বরিশাল মহানগর আওয়ামীলীগের নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক হিসেবে সফল ভাবে দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালন করে আসছি। বর্তমানে সিনিয়র সহ-সভাপতি, বরিশাল মহানগর আওয়ামীলীগ হিসেবে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছি।

রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে অসংখ্য মিথ্যা মামলায় জেল-জুলুম নির্যাতনের শিকার হই। ২০০১ সালের প্রহসনের নির্বাচনের মাধ্যমে বিএনপি-জামায়াত জোট ক্ষমতায় আসলে দীর্ঘ ৫ মাস কারাভোগ করি। বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে আমার বিরুদ্ধে তিনটি মামলা দায়ের করা হয় যা বর্তমানে নিষ্পত্তি হয়েছে।

আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন , ২০০১ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচন বরিশাল ৩ (হিজলা-মুলাদী) আসনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করি এবং রেকর্ড পরিমান ভোট পাই যা ছিল বৃহত্তর বরিশালের অন্য যে কোন আসনগুলোর মধ্যে সবচেয়ে কম ভোটের ব্যবধানে পরাজয়। ২০০৭ সালের বাতিলকৃত জাতীয় সংদ নির্বাচনে বরিশাল-৩ (হিজলা-মুলাদী) আসনে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ মনোনয়নপ্রাপ্ত হই।

২০০৯ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রথম বরিশাল-৪ (হিজলা-মেহেন্দিগঞ্জ) আসনে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন লাভ করি কিন্তু দলীয় স্বার্থে ঐ আসনটি থেকে সরিয়ে আমাকে বরিশাল- ৩ (বাবুগঞ্জ-মুলাদী) আসনে মনোনয়ন প্রদান করা হয় কিন্তু সেই আসনটিও পরবর্তীতে মহাজোট শরিক জাতীয় পার্টিকে ছেড়ে দেওয়ার নির্দেশ আসার কারণে আমি আমার প্রার্থীতা প্রত্যাহার করি। সে সকল কারণে আমি বরিশাল-৪ আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশা করছি ।

তিনি আর বলেন , আমি একজন রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান। ছাত্রজীবন থেকে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত রয়েছি। আমার পিতা মরহুম এ.কে.এম নুরুল করিম, হিজলা-মুলাদী থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর এখন পর্যন্ত হিজলা উপজেলা থেকে কেউ সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়নি। এ কারণে এবার আমার এলাকার জনগণের মাঝে আমাকে নিয়ে ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। এবার আমার প্রতি জন সমর্থন বিগত যে কোন সময়ের চেয়ে অনেক বেশি।

তিনি জানান , ২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে হিজলা উপজেলায় বিএনপি মনোনীত প্রার্থীর চেয়ে আওয়ামী লীগ প্রার্থী প্রায় ৬০০০ (ছয় হাজার ভোট বেশি প্রাপ্ত হন। এই ক্ষেত্রে আমার বাড়ী হিজলা উপজেলায় এবং হিজলা উপজেলা থেকে দীর্ঘদিন যাবত এমপি নির্বাচিত না হওয়ায় আঞ্চলিকতার একটা প্রভাব পড়বে। এ ক্ষেত্রে আমি প্রার্থী হলে দলমত নির্বিশেষে একচেটিয়া ভোট আমার পক্ষে টানতে সক্ষম হব। এত রিজার্ভ পরিমাণ ভোট আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী অন্য আর প্রার্থী নেই।

এসএ