‘আইস’খায় উচ্চবিত্তরা, ১০ গ্রামের দাম লাখ টাকা

রাজধানীতে অভিযান পরিচালনা করে মালয়েশিয়া থেকে আনা বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য ‘আইস’ উদ্ধারসহ ৬ জনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা রমনা বিভাগ।
গ্রেফতারকৃতরা হলো- চন্দন রায়, সিরাজ, অভি, জুয়েল, রুবায়েদ ও ক্যানি। এ সময় তাদের হেফাজত হতে ৬০০ গ্রাম মাদকদ্রব্য ‘আইস’ উদ্ধার করা হয়। বুধবার (৪ নভেম্বর) বিভিন্ন সময় গেন্ডারিয়া, গুলশান, বনানী ও বসুন্ধরা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টায় ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিবি) এ কে এম হাফিজ আক্তার বিপিএম-বার।
উদ্ধারকৃত মাদক ‘আইস’ নতুন ধরণের মাদক উল্লেখ করে ডিবির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার বলেন, এর ক্যামিকাল নাম মেথান ফিটামিন, উৎপত্তিস্থল অস্ট্রেলিয়া, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর ও চায়না। সেবু, ক্রিস্টাল ম্যাথ, ডি ম্যাথসহ আইসের আরও নাম রয়েছে। ১০ গ্রাম আইস মাদকের দাম ১ লক্ষ টাকা। এটি স্নায়ু উত্তেজক ড্রাগ। এটি গ্রহনে হরমন উত্তেজনা স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে হাজার গুন বৃদ্ধি পায়। তিনটি ফরমেশনে এটি গ্রহন করা হয়- ধুমপান আকারে, ইনজেক্ট করে ও ট্যাবলেট হিসেবে।
তিনি আরো বলেন, বিদেশ থেকে উচ্চবৃত্তদের জন্য এই ড্রাগ আনা হয়েছে। প্রতিবার মাদকদ্রব্য আইস সেবনে ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা খরচ হয়। উচ্চবৃত্ত পরিবারের সন্তানদের টার্গেট করে এদেশে মার্কেট ধরতে বিদেশ থেকে মাদকদ্রব্য আইস আনা হয়েছে বলে গ্রেফতারকৃতরা জানায়। দীর্ঘদিন এটি ব্যবহার করলে হৃদরোগ, অঙ্গ-প্রতঙ্গ ড্যামেজ, দাঁত খয়ে যাওয়াসহ ব্রেইন স্ট্রোক হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃতরা জানায়, চন্দন রায় উক্ত মাদকদ্রব্য আইসের মূল ডিলার। তিনি তার প্রবাসী আত্মীয় শংকর বিশ্বাসের মাধ্যমে বিমানযোগে এগুলি সংগ্রহ করে ঢাকার খুচরা বিক্রেতাদের মাধ্যমে উচ্চবিত্ত্ব শ্রেনীর কাছে বিক্রি করে।
গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।