ঢাকা শনিবার, ১৯শে এপ্রিল ২০২৫, ৭ই বৈশাখ ১৪৩২


দুই সাংবাদিককে মারধরের ঘটনায় শাহবাগের সেই এএসআই প্রত্যাহার


২৮ জানুয়ারী ২০২০ ১১:১১

সংগৃহিত

দুই সাংবাদিককে মারধরকারী শাহবাগ থানার সহকারী উপরিদর্শক (এএসআই) মামুন হোসেনকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তে রমনা বিভাগের উপ-কমিশনার সাজ্জাদুর রহমানকে নির্দেশ দিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম।

সোমবার (২৭ জানুয়ারি) এ তথ্য নিশ্চিত করে ডিএমপি’র মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মাসুদুর রহমান বলেন, অভিযুক্ত এএসআই মামুনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়ার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

এর আগে বৃহস্পতিবার ডিএমপি কমিশনার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দেন বাংলা ট্রিবিউনের সাংবাদিক শেখ জাহাঙ্গীর আলম।

ভুক্তভোগী সাংবাদিক শেখ জাহাঙ্গীর আলম ও সাজ্জাদ মাহমুদ খান বলেন, ‘আমরা ন্যায়বিচারের জন্য কমিশনারের কাছে অভিযোগ দিয়েছি। একটি বাহিনীর সদস্য হয়ে এএসআই মামুন যে ব্যবহার করেছে তা অপেশাদার। আমরা তার শাস্তির দাবি জানাই। যাতে ভবিষ্যতে কোনো পুলিশ সাধারণ মানুষের সঙ্গে অপেশাদার আচরণ না করেন।’

ডিএমপি কমিশনার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগে তারা উল্লেখ করেন, গত ২০ জানুয়ারি (সোমবার) সন্ধ্যায় মিন্টো রোডের ডিএমপি মিডিয়া সেন্টার থেকে মোটরসাইকেলযোগে পান্থপথে কর্মস্থল বাংলা ট্রিবিউন অফিসে যাচ্ছিলেন তিনি। এসময় তার সঙ্গে ছিলেন দৈনিক আলোকিত বাংলাদেশের স্টাফ রিপোর্টার (ক্রাইম) সাজ্জাদ মাহমুদ খান ওরফে সাজ্জাদ হোসেন।

তারা পরীবাগ লিংক রোড দিয়ে যাওয়ার সময় যানজটের মধ্যে আটকা পড়েন। বিপরীত দিক থেকে মোটরসাইকেলযোগে শাহবাগ থানার এএসআই মামুন হোসেন দ্রুতগতিতে জাহাঙ্গীরের ডান পায়ে চাপা দেয়। জাহাঙ্গীর ও সাজ্জাদ প্রতিবাদ করলে এএসআই মামুন ইচ্ছাকৃতভাবে আরও দুই-তিনবার মোটরসাইকেলের পিকআপ বাড়িয়ে আমার পায়ে চাপা দিতে থাকে এবং মুখে গালাগালি করতে থাকে। তারা পুলিশ সদস্যের এই অপেশাদার আচরণের প্রদিবাদ করলে তাদের হত্যার হুমকি দেন।

জাহাঙ্গীর ও সাজ্জাদ জানান, ‘প্রতিবাদ করায় এএসআই মামুন অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করে হুমকি দিয়ে বলতে থাকেন, ‘আমি নামলে কিন্তু মারবো। তোকে পিষে ফেলবো। তাড়াতাড়ি গাড়ি সরা, নইলে মারবো।’ এসময় পথচারী এবং আশপাশের দোকানদাররা ঘটনাস্থলে জড়ো হলে জাহাঙ্গীরকে লাথি মেরে ঘটনাস্থল থেকে সটকে পড়েন তিনি।

পুলিশের রমনা বিভাগের উপ-কমিশনার সাজ্জাদুর রহমান জানান, এ ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন অনুযায়ী অভিযুক্ত এএসআই মামুনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।