ঢাকা শনিবার, ২০শে এপ্রিল ২০২৪, ৭ই বৈশাখ ১৪৩১


জননেতা হানিফের বিরুদ্ধে বিদ্বিষ্ট প্রচারণা কেন


২৯ জুন ২০২০ ০৮:১২

ফাইল ছবি

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, কুষ্টিয়া-৩ আসনের সংসদ সদস্য মাহবুবুল আলম হানিফের কানাডা যাওয়াকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগবিরোধী বলে পরিচিত দেশের একটি সংবাদমাধ্যম উদ্দেশ্যমূলক বিভ্রান্তিকর প্রচারণা শুরু করেছে। আওয়ামী লীগ নেতাদের চরিত্রহননের ধারাবাহিক মিশনের এটি নবতর সংস্করণ বলেই মনে হচ্ছে।
জননেতা মাহবুবুল আলম হানিফ কোনো
ভুঁইফোঁড় নেতা নন। তিনি বঙ্গবন্ধুর আদর্শের একজন একনিষ্ঠ অনুসারী। আওয়ামী লীগ সভানেত্রী, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একজন বিশ্বস্ত সহকর্মী। জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগকে সংগঠিত ও জনপ্রিয় করে তোলার যে লড়াই দেশে অবিরাম চলছে, তার একজন অন্যতম যোদ্ধা জননেতা মাহবুবুল আলম হানিফ। নিজ জেলা কুষ্টিয়াসহ সারাদেশের লক্ষ লক্ষ নেতাকর্মীসমর্থকদের কাছে হানিফ ভাই একজন সম্মানিত নেতা। কোনো কারণে তাকে বিতর্কিত করতে পারলে, তার সুনামহানি করতে পারলে যারা খুশি হবে তারা কোনোভাবেই আওয়ামী লীগের সুহৃদ হতে পারে না। আওয়ামী লীগ বিদ্বেষী একটি মহল সব সময় ঈগলচোখে তাকিয়ে থাকে মওকার জন্য। করোনাকালে অত্যন্ত মানবিক কারণে কানাডায় যেতে বাধ্য হয়েছেন আমাদের প্রিয় নেতা হানিফ ভাই। ব্যস, আওয়ামী লীগবিরোধী শকুনেরা মওকা পেয়েছে তাকে নিয়ে গালপল্প ফেঁদে আওয়ামী লীগবিরোধীতায় সুড়সুড়ি দিতে।
দীর্ঘদিন ধরে কানাডায় বসবাসকারী স্ত্রীর গুরুতর অসুস্থতার খবর পেয়ে সন্তানদের অনুরোধেই তিনি কানডায় গিয়েছেন সব ফরমালিটি রক্ষা করেই। প্রভাব খাটিয়ে কোনো অবৈধ পথে গোপনে তিনি দেশত্যাগ করেননি। যাওয়ার আগে তিনি দলীয় প্রধান মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, জননেত্রী শেখ হাসিনার অনুমতি নিয়েছেন। তার ওপর অর্পিত সাংগঠনিক দায়িত্ব রীতি মাফিক দলের সাধারণ সম্পাদকের কাছে বুঝিয়ে দিয়ে গেছেন। এছাড়া তার নিজের নির্বাচনী এলাকার নেতাকর্মী এবং সমর্থক-শুভানুধ্যায়ী ও সাধারণ মানুষের সঙ্গেও দেখা করে গেছেন। তার অনুপস্থিতির সময়ে করণীয় সম্পর্কে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়ে গেছেন। তার আগে করোনা ছোবল হানার পর তিনি কমপক্ষে তিন বার নিজ নির্বাচনী এলাকায় ঘুরে গেছেন। দুস্থ মানুষের মধ্যে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করেছেন। আমরা তার অনুসারীরা জানি যে, তিনি একজন সাহসী রাজনৈতিক নেতা। তিনি লড়াইয়ের মাঠ থেকে গোপনে পিছু হঠার মানুষ নন। তার মধ্যে ভীরুতা নেই, আছে দৃঢ় রাজনৈতিক কমিটমেন্ট। তার মতো দৃঢ়চেতা নেতাদের জন্যই আওয়ামী টানা দেশ শাসনের রেকর্ড সৃষ্টি করতে পেরেছে।
ঘুরিয়েফিরিয়ে একটা প্রশ্ন সামনে আনা হচ্ছে, ‘এই সময়’ তিনি কেন কানাডা গেলেন?
এই প্রশ্নের জবাব তিনি নিজে স্পষ্টভাবে দিয়েছেন। তার স্ত্রী গুরুতর অসুস্থ। এই মাসের শেষে তার একটি অপারেশন প্রয়োজন হতে পারে। এই সময় স্বামী হিসেবে স্ত্রীর পাশে থাকা তার মানবিক দায়িত্ব। কাজেই ‘এই সময়' তাকে কানাডা যেতে হয়েছে।
তিনি যেমন রাজনৈতিক নেতা, ঠিক তেমনিভাবে তিনি একজন স্বামী এবং পিতাও বটে। রাজনৈতিক নেতা বলে তিনি হৃদয়হীন হতে পারেন না। পরিবারের দুঃসময়ে স্বজনদের পাশে দাঁড়ানোর হৃদয়বৃত্তি ও সংবেদনশীলতা যার মধ্যে থাকে না, তিনি তো জনদরদি নেতাও হতে পারেন না। এখন তার স্ত্রী-সন্তানদের পাশে থাকা প্রয়োজন, এখনই তিনি কানাডা গিয়েছেন। এরমধ্যে রহস্য খুঁজে যারা তৃপ্তি অনুভব করছেন, তারা মানুষ হিসেবে নিজেদের খুব উঁচুতে প্রমাণ করতে পারছেন কী?
জননেতা মাহবুবুল আলম হানিফের চরিত্রহনন করে যারা তাঁকে হেয় করে, আওয়ামী লীগকে দুর্বল করার সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা যারা ফেঁদেছেন, তারা সফল হবেন বলে মনে হয় না। হানিফ ভাই হাওয়ায় নেতা হননি, তার শিকড় মাটির গভীরে এবং মানুষের হৃদয়ে হৃদয়ে। তাকে জনবিচ্ছিন্ন করার ষড়যন্ত্র সফল হবে না। আমরা হানিফ ভাইয়ের সঙ্গে আছি।
জয় বাংলা। জয় বঙ্গবন্ধু । জয় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ।