ঢাকা শুক্রবার, ২৯শে মার্চ ২০২৪, ১৬ই চৈত্র ১৪৩০


হৃদয়ে লেখা থাকবে একটি নাম, হাবিবুর রহমান


১২ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০৫:৫৫

ফাইল ফটো

এগিয়ে চলছে দেশ, এগিয়ে চলছে দেশের সামগ্রিক অগ্রগতি। দেশের এ অগ্রযাত্রায় বর্তমান সরকারের উন্নয়ন পরিকল্পনায় অংশীদার হচ্ছে পুলিশ। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতী উন্নয়নের পাশাপাশি অর্থনৈতিক অগ্রগতির সাফল্যেও কাজ করে যাচ্ছে বাংলাদেশ পুলিশের চৌকষ মেধাবীরা। এরই ধারাবাহিকতায় আজ শুভ উদ্বোধন হলো বাংলাদেশ পুলিশ কল্যাণ ট্রাস্টের মালিকানায় কমিউনিটি ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড-এর। বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা আজ অনাড়াম্বর ভিডিও কনফারেন্স অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পুলিশের আপামর সদস্যের প্রাণের দাবী নিজস্ব ব্যাংকের উদ্বোধন ঘোষণা করলেন।

এ ব্যাংক প্রতিষ্ঠায় রয়েছে অনেক সিনিয়র পুলিশ অফিসারের অক্লান্ত পরিশ্রম ও মেধা। এর যাত্রা শুরু হয়েছিল ২০১৬ সালের ২৭ জানুয়ারি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পুলিশ সপ্তাহ উপলক্ষ্যে পুলিশ অফিসারদের সাথে মতবিনিময়ের প্রাক্কালে বাংলাদেশ পুলিশের আইকন বর্তমান ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি জনাব হাবিবুর রহমান, বিপিএম (বার) পিপিএম (বার) স্যার এ ব্যাংকের দাবী করেছিলেন। তাৎক্ষণিকভাবে এ দাবী মেনে নিয়েছিলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী। অতঃপর শুরু হয়েছিল দাপ্তরিক কাজ। অনেক চড়াই উৎরাই পার হয়ে অবশেষে আলোর মুখ দেখতে পেল পুলিশের কমিউনিটি ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড। এ যেন স্বপ্নের মত এক পাওয়া। সেদিন ডিআইজি হাবিবুর রহমান স্যারের চাওয়া ছিল বাংলাদেশ পুলিশের সকল সদস্যের প্রাণের দাবী। এ দাবী পূরণ করতে সকল পুলিশ সদস্য স্বপ্রণোদিত হয়ে এগিয়ে এসেছিল নিজেদের অর্থে নিজস্ব ব্যাংক গড়ে তুলতে। হাসি মুখে প্রতিটি সদস্য একটি বছর প্রতি মাসে বেতন থেকে টাকা দিয়ে গড়ে তুলেছিলেন ৪০০ কোটি টাকার প্রারম্ভিক মূলধন। বাংলাদেশ পুলিশের প্রতিটি সদস্য এ সাফল্যের অংশীদার হয়ে আজ গর্বিত।

সমাজের সাথে তাল মিলিয়ে পরিবর্তন হবে বাংলাদেশ পুলিশ। কমিউনিটি ব্যাংক ধীরে ধীরে পৌঁছে যাবে দেশের সকল মানুষের দোরগোড়ায়। এ ব্যাংকের আধুনিক সেবা পেয়ে সাধারণ জনগণের সাথে পুলিশের দূরত্ব যাবে কমে। সকলের আস্থার ব্যাংক হবে কমিউনিটি ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড। ইতিহাসের পাতায় স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে এ ব্যাংকের প্রথম দাবী উত্থাপনকারী শ্রদ্ধেয় ডিআইজি জনাব হাবিবুর রহমান, বিপিএম (বার) পিপিএম (বার) স্যারের নাম। আর সকল পুলিশ সদস্যের হৃদয়ে লেখা থাকবে একটি নাম, হাবিবুর রহমান।

লেখক - হাফিজুর রহমান
উপ-পুলিশ পরিদর্শক-ঢাকা রেঞ্জ ডিআইজির কার্যালয়, ঢাকা।