ঢাকা বৃহঃস্পতিবার, ২রা মে ২০২৪, ১৯শে বৈশাখ ১৪৩১


সাগরে নিম্মচাপ, লোকসানে মৎস ব্যাবসায়ীরা


১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ২১:১৫

পোলা মাইয়া লইয়া অ্যাকছের কষ্টে আছি, সাগরে মাছ নাই মোগো সংসার ও চলে না। ধার করজো কইর্রা সাগরে গেছি সাগরে মাছ নাই এ্যাহন টাহা ও দেতে পারি না, এমনটাই বলছিলেন পাথরঘাটার এক জেলে।

গভীর সমুদ্র উত্তাল, তাই মাছ ধরা বন্ধ করে ২ থেকে ৪ দিনের মধ্যেই উপকূলে ফিরেছে শত শত ট্রলার। মৌসুমের শুরু থেকে ১৫ থেকে ২০ দিনের খাদ্য সামগ্রী নিয়ে যতবারই গভীর সমুদ্রে গিয়েছে, ততবারই ফেরত আসতে হয়েছে এভাবে। প্রতিবার এক থেকে দের লক্ষ টাকা লোকসান হওয়ায় নিস্ব হয়েছেন অনেক ট্রলার মালিক। আর মৌসুমের শুরু থেকে কঠোর পরিশ্রম করেও মজুরি পাচ্ছেনা জেলেরা।

এদিকে মাছ নেই পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে, আগের মত তাই কর্মব্যাস্ততাও নেই। অনেক শ্রমিক অলস সময় পার করছেন। আরৎগুলোতে সামান্য কিছু মাছ ওঠায় শুরু থেকেই লোকসান গুনতে হচ্ছে পাইকার ও আড়ৎদারদের। গত বছর আগস্টে ১১শ ৪৯ মেট্রিকটন মাছ ধরা পড়লেও, এ বছর জালে ধরা পড়েছে মাত্র ৬শ ৪২ মেট্রিক টন।

ট্রলারের জেলেরা জানান, ৭-৮ বার সমুদ্রে গিয়েও তারা আসল টাকা উঠাতে পারেননি। প্রতিবার সমুদ্রে যেতে তাদের খরচ হচ্ছে দেড় থেকে দুই লক্ষ টাকা। এত টাকা খরচ করেও আবহাওয়া খারাপ থাকার কারনে বার বার উপকূলে ফিরতে হচ্ছে তাদের। এখন সংসার চালানোর মত তাদের সাধ্যে নেই।

এ বিষয়ে কিছু পাইকারের সাথে কথা বললে তারা জানান, মাছ কম থাকার কারনে বেশী দাম দিয়ে মাছ কিনতে হচ্ছে। আবার যখন মাছ বেশী হয় তখন মাছের দাম কমে যায় । তখন আমরা আড়ৎদাড়রা এভাবেই লোকসানে পড়ে যাই। এবছর প্রায় ১৫-২০ লক্ষ টাকা লোকসানে আছি।

বার বার নিম্নচাপ সৃস্টির ফলে নদী উত্তাল থাকায় এমন সমস্যা হচ্ছে বলে জানান পাথরঘাটা বিএফডিসি ব্যাবস্থাপক লেফটেন্যান্ট এম নুরুল আমীন। আবহাওয়া অনুকূলে আসলে জেলে ও মৎস ব্যবসায়ীরা লোকসানটা কুলিয়ে উঠতে পারবেন বলে আশাব্যক্ত করেন তিনি।

আইএমটি