ঢাকা বৃহঃস্পতিবার, ২৫শে এপ্রিল ২০২৪, ১৩ই বৈশাখ ১৪৩১


পঞ্চম ধাপে উপজেলা নির্বাচনে আ.লীগের মনোনয়ন চুড়ান্ত


২০ মে ২০১৯ ১২:২৩

উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে পঞ্চম ধাপে ১৬টি উপজেলার নির্বাচনে প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে আওয়ামী লীগ। আজ রোববার বিকালে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগের সংসদীয় বোর্ড ও স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ডের সভায় এ সিদ্ধান্ত হয় বলে আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক ব্যরিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এতথ্য জানানো হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন দলীয় মনোনয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান শেখ হাসিনা।

সভায় পঞ্চম ধাপে অনুষ্ঠেয় ১৬টি উপজেলার নির্বাচনে প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে আওয়ামী লীগ। এরমধ্যে রংপুর বিভাগের গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় মো. আশরাফুল আলম সরকার মনোনয়ন দেওয়া হয়। রাজশাহী বিভাগের নাটোর জেলার নলডাঙ্গা উপজেলায় মনোনয়ন পেয়েছেন মো. আসাদুজ্জামান আসাদ, সিরাজগঞ্জ জেলার কামারখন্দ উপজেলার আবদুল মতিন চৌধুরী, বরিশাল বিভাগের বরগুনা জেলার তালতলী উপজেলায় পেয়েছেন রেজবি-উল-কবির, পটুয়াখালি জেলার রাঙ্গাবালী উপজেলায় দেলোয়ার হোসেন, ঢাকা বিভাগের গাজীপুর সদর উপজেলায় পেয়েছেন রীনা পারভীন, নারায়নগঞ্জ জেলার বন্দর উপজেলায় মনোনয়ন পেয়েছেন এম এ রশিদ, মাদারীপুর সদর উপজেলায় পেয়েছেন কাজল কৃষ্ণ দে, রাজবাড়ি জেলার কালুখালী উপজেলায় মনোনয়ন পেয়েছেন কাজী সাইফুল ইসলাম, ময়মনসিংহ বিভাগের শেরপুর জেলার নকলা উপজেলায় মনোনয়ন পেয়েছেন শফিকুল ইসলাম জিন্নাহ, সিলেট বিভাগের হবিগঞ্জ উপজেলার শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলায় মনোনয়ন পেয়েছেন আব্দুর রশিদ তালুকদার ইকবাল, চট্টগ্রাম বিভাগের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয় নগর ও বাঞ্চারামপুর উপজেলায় যথাক্রমে মনোনয়ন পেয়েছেন তানভীর ভূঞা ও সিরাজুল ইসলাম, কুমিল্লা জেলার কুমিল্লা আদর্শ সদর ও কুমিলা সদর দক্ষিণে যথাক্রমে মনোনয়ন পেয়েছেন আমিনুল ইসলাম ও গোলাম সারওয়ার, নোয়াখালী সর উপজেলায় মনোনয়ন পেয়েছেন এ কে এম সামছুদ্দিন।

সভা শেষে গণভবনে মুক্তিযোদ্ধা, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামায় আহতরা, উলামা মাশায়েক, সংস্কৃতিকর্মী ও পরিবারের সদস্য ও শুভানুধ্যায়ীদের নিয়ে ইফতার করে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এবারের রমজানে প্রধানমন্ত্রীর আয়োজনে প্রথম ইফতার।

ইফতারের আগে সূচনা বক্তব্যে শেখ হাসিনা বলেন, আমি খুব দু:খিত যে সব সময় ঘুরে ঘুরে সবার সঙ্গে মিলিত হই। কিন্তু গত ১৫ নি আগে আমার চোখে অপরাশেন হয়ে গেছে। স্বাভাবিকভাবে বয়স বেড়ে গেছে চোখে ছানি পড়ে গেছে কাজেই আমার নিষেধ আছে বাইরে যাওয়া। আজকেই প্রথম আমি মিটিং করলাম। এর আগে আরেকটা মিটিং করেছি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই আপনারা আমার আমন্ত্রণে অংশ নিয়েছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। যারা দেশে এবং দেশের বাইরে আছেন তারা সবাই দোয়া করবেন বাংলাদেশ ও বাংলাদেশের মানুষের জন্য।

তিনি বলেন, জাতির পিতা যে দেশে প্রতিষ্ঠা করে গেছেন তার যে স্বপ্ন ছিল দারিদ্র মুক্ত শোষণ মুক্ত সমাজ গঠন করা সেই স্বপ্ন যেন আমরা পুরণ করতে পারি। উন্নত বাংলাশে গড়া, বিশ্ব রবারে বাংলাশেকে সম্মানের সঙ্গে উপস্থাপন করা। বাংলাদেশ যেন জঙ্গিবাদ, উগ্রবাদ ও সন্ত্রাস মুক্ত করতে পারি সেটা আমরা চাই।

শেখ হাসিনা বলেন, আমরা স্কুলের বান্ধবীরা আছেন, আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের বন্ধুরা আছেন, আমার পরিবারের সদস্যরা আছেন। আমারা পরিবারের অনেকেই আমরা স্বজন হারা বেদনা নিয়েই আছি। আপনারা যারা মুক্তিযোদ্ধা আছেন, উলামায়ে মাশায়েক আছেন, ২১ আগস্ট গ্রেন্ডে হামলায় আহতরা ও নিতদের স্বজনরা আছে তাদের সকলকে ধন্যবাদ জানাই। সবাই সবার জন্য দোয়া করবেন। নিজ নিজ জায়গা থেকে দেশ ও মানুষের জন্য কাজ করবেন।

নতুনসময়/আইকে