ঢাকা বুধবার, ২৪শে এপ্রিল ২০২৪, ১২ই বৈশাখ ১৪৩১


নুসরাতকে বাঁচানোর চেষ্টা করেছিলেন কনস্টেবল রাসেল!


১৬ মে ২০১৯ ২২:২০

নুসরাত হত্যাকাণ্ডে ব্যপাকভাবে আলোচিত হচ্ছে পুলিশের নেতিবাচক ভূমিকা। তবে এ ঘটনায় পুলিশের ইতিবাচক দিকও রয়েছে। পুলিশ কনস্টেবল মো. রাসেল অগ্নিদগ্ধ নুসরাতকে বাঁচানোর চেষ্টায় সাহসী ভূমিকা রেখেছিলেন।

ঘটনার দিন নুসরাতকে মাদ্রাসা ভবনের দ্বিতীয় তলার সিঁড়ি থেকে উদ্ধার করে নুসরাতের ভাইসহ অটোরিক্সায় হাসপাতালে নিয়ে যান রাসেল।

হত্যাকাণ্ডের তদন্তে পুলিশ সদর দফতরের গঠিত কমিটির দেওয়া প্রতিবেদনে রাসেলের সাহসী ভূমিকার প্রশংসা করা হয়েছে। পাশাপাশি এ কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ তাকে পুরস্কৃত করার প্রস্তাবও করা হয়েছে।

সোনাগাজী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মঈন উদ্দিন এই তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, প্রতিবেদনে পুলিশ কনস্টেবল মো. রাসেলের প্রশংসা করে বলা হয়েছে, অগ্নিদগ্ধ নুসরাতকে কোলে করে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যান রাসেল। এতে তারও হাত পুড়ে গেছে। দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া না হলে ঘটনাস্থলেই নুসরাত মারা যেত। ঘটনার দিন সকাল পৌনে দশটায় মাদ্রাসার গেটে একজন এসআইয়ের নেতৃত্বে রাসেলসহ তিন কনস্টেবল দায়িত্বরত ছিলেন। কিন্তু অগ্নিদগ্ধ নুসরাতকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে মাদ্রাসার দারোয়ান মো. মোস্তফা ছাড়া অন্য কেউ সহযোগীতার জন্য এগিয়ে আসেনি। যেখানে দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা বিষয়টিকে অবহেলার চোখে দেখেছেন, সেখানে কনস্টেবল রাসেল পুলিশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেছেন। তার কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ তাকে পুরস্কৃত করার প্রস্তাব করা হয়েছে।

নুসরাত হত্যাকাণ্ডের তদন্তে আইজিপির নির্দেশে ১৬ এপ্রিল পুলিশ সদর দফতরের ডিআইজি (মিডিয়া) এসএম রুহুল আমিনকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির অন্য সদস্যরা হচ্ছেন- চট্টগ্রাম রেঞ্জ সিআইডির একজন বিশেষ পুলিশ সুপার, চট্টগ্রাম রেঞ্জ পুলিশের একজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, পুলিশ সদর দফতরের একজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও একজন পরিদর্শক।

৩০ এপ্রিল রাতে পুলিশ সদর দফতরের সংশ্লিষ্ট শাখায় তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন কমিটির প্রধান ডিআইজি রুহুল আমিন। প্রতিবেদনের সুপারিশ অনুযায়ী দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে বিভাগীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা হিসেবে ফেনীর তৎকালীন পুলিশ সুপার (এসপি) এসএম জাহাঙ্গীর আলম সরকারকে পুলিশ সদর দফতরে সংযুক্ত করা হয়েছে। সোনাগাজী থানার তৎকালীন ওসি মোয়াজ্জেম হোসেনকে সাময়িক বরখাস্ত করে রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি কার্যালয়ে সংযুক্ত করা হয়েছে। এছাড়া অভিযুক্ত এসআই মো. ইউসুফকে খুলনা রেঞ্জের ডিআইজি কার্যালয়ে ও এসআই মো. ইকবাল আহমদকে খাগড়াছড়ি জেলায় সংযুক্ত করা হয়েছে।


নতুনসময়/এনএইচ