নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার ও নির্যাতন বন্ধ করুন: মোশাররফ

আইন বিভাগ, বিচার বিভাগ, প্রশাসন, পুলিশবাহিনী আপনারা আওয়ামী লীগের নির্দেশিত পথে চলবেন না এমন মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। এসময় আইনশৃংখলা বাহিনীকে নেতাকর্মীদের নির্যাতন ও গ্রেপ্তার না করতে আহবান জানান তিনি।

তিনি বলেন, এই সরকারের সময় শেষ, তাদের কথায় এভাবে আর জনগণকে নির্যাতন করবেন না। আপনারা এদেশের প্রজাতন্ত্রের কর্মকর্তা ও কর্মচারী। আওয়ামী লীগের কর্মকর্তা কর্মচারী নন।

বুধবার (১২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজধানীর রমনায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন প্রাঙ্গণে খালেদা জিয়ার মুক্তি ও সুচিকিৎসার দাবিতে বিএনপি আয়োজিত দুই ঘণ্টার প্রতিকী অনশন কর্মসূচিতে সভাপতির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

ড.মোশাররফ বলেন, খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে আমরা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবো। এদেশের মানুষ খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করবে। তাই আহবান জানাবো এই যে সরকার যাদের সময় শেষ তাদের কথা মতো আর নির্যাতন চালাবেন না। সকল মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। খালেদা জিয়াকে অবিলম্বে মুক্ত করতে হবে।

এই আন্দোলনে জাতীয় ঐক্যের সৃষ্টি করতে হবে। আজকে জাতীয় ঐক্যের যে আওয়াজ উঠেছে, সেই জাতীয় ঐক্যে একত্রিত হয়ে আসুন আমরা সকলে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করি, গণতন্ত্রকে মুক্ত করি। খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করি।

তিনি আরও বলেন, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি ছাড়া দেশের গণতন্ত্র মুক্তি পাবে না। আজকে বাংলাদেশের গণতন্ত্র আওয়ামী সরকারের কাছে বন্দি। দেশের সকল জনগণ, বিএনপি ও ২০দলের বাইরেও অনেক রাজনৈতিক দল সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে হবে, ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনতে হবে। এজন্য প্রথম দরকার খালেদা জিয়ার মুক্তি।

এছাড়া, দুপুর ১২টায় দিকে ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনকে পানি পান করিয়ে প্রতিকী এই অনশন কর্মসূচি শেষ করেন ঢাবির সাবেক ভিসি ও বিএনপিপন্থী বুদ্ধিজীবী প্রফেসর এমাজউদ্দীন আহমেদ।

এই কর্মসূচিতে বক্তব্য দেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির মিয়া গোলাম পরওয়ার, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান, মো. শাহজাহান, ডা. এজেএম জাহিদ হোসেন, আহমেদ আযম খান, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা, আমান উল্লাহ আমান, জয়নুল আবদিন ফারুক, আব্দুস সালাম, মিজানুর রহমান মিনু, হাবিবুর রহমান হাবিব, আতাউর রহমান ঢালী, আবুল খায়ের ভূইয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, কল্যাণ পার্টির সহসভাপতি শাহিদুর রহমান তামান্না, ন্যাপ ভাসানীর সভাপতি আজহারুল ইসলাম, জাগপার মহাসচিব খোন্দকার লুৎফর রহমান, জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের সাধারণ সম্পাদক সাদেক আহমেদ খান, মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস, শিরিন সুলতানা প্রমুখ।

অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি।

আইএমটি

---