স্টপেজ নয় ব্যবহার হয় জেব্রা ক্রসিং

বাস স্টপেজ ব্যবহার করে না কেউ যাত্রী-চালক হেলপাররা। এমন চিত্র দেখা গেছে গতকাল রাজধানীর ব্যাস্ততম এলাকা শাহাবাগ মোড়ে। সময় তখন বিকেল ৪টা বেজে কয়েক মিনিট মাত্র।
শাহবাগ মোড় থেকে ফার্মগেটমুখী সিগন্যাল ছাড়া হয়েছে। মোড় অতিক্রম না করতেই বাসগুলো দাঁড়িয়ে যায় রাস্তার জেব্রা ক্রসিংয়ের ওপর । সেখান থেকেই যাত্রী গাড়িতে তোলা শুরু করছে। অথচ মাত্র কয়েক গজ সামনেই বাস স্টপেজ।
শুক্রবার (০৭ সেপ্টেম্বর) অফিস থেকে ফেরার পথে রাজধানীর শাহবাগ মোড়ে অবস্থান করে এসব অনিয়ম লক্ষ করা গেছে। ডিএমপি কমিশনার আছাদু্জ্জামান মিয়া এক সংবাদ সম্মেলন করে স্টপেজে ব্যবহার করে যাত্রী ওঠানামার কথা বলেছেন।
যার ফলে শাহবাগে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের জন্য অতিরিক্ত পুলিশ সদস্যদেরও দায়িত্ব পালন করতে দেখা যায়। সঙ্গে বিএনসিসি ও রোভার স্কাউট সদস্যরাও রয়েছেন। কিন্তু কোন কিছুই মানছেনা বাসের চালক হেলপাররা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) সামনের ওভারব্রিজ থেকে শুরু হয়ে হাসপাতাল গেট পর্যন্ত বাস স্টপেজ থাকলেও সেখানে থেকে কোন বাস যাত্রী উঠা নামা করতে দেখা য়ায় নি। অধিকাংশই শাহবাগ মোড় থেকে যাত্রী তুলছে। পরীবাগ এলাকায় সিগন্যাল পড়লে এই স্টপেজের সামনে বাসগুলো থামছে। অন্যথায় স্টপেজে না ব্যবহার করেছে না।
জেব্রা ক্রসিংয়ে দাঁড়িয়ে যাত্রী নিতে দেখা গেছে ৮নং বাস, তরঙ্গ, আবাবিল, স্বাধীন, তানজিল পরবিহন, বিহঙ্গ, বঙ্গবন্ধু এভিনিউ পরিবহন, বিআরটিসিসহ অধিকাংশ গণপরিবহনের বাসগুলোকে।
স্টপেজ বাদ দিয়ে যাত্রী তোলার কারণ জানতে চাইলে বিআরটিসি বাসের হেলপার সাব্বির বলেন, যাত্রীরা সচেতন না , তারা নিজেদের সুবিধার জন্য স্টপজে না করে এখানে দাঁড়ালে তো আমাদের তুলতে হয়।
আরো একটু বিস্তারিত জানার জন্য উঠে পড়ি একটি বাসে সেখানে কথা হয় বেসরকারি কর্মকর্তা রিয়াদের সাথে তিনি বলেন আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। জেব্রা ক্রসিংয়ের ওপর দাঁড়িয়ে যাত্রী তোলা কোনোভাবেই কাম্য নয়। এতে দুর্ঘটনা বাড়ে।
ট্রাফিক পুলিশদের চোখ ফাঁকি দিয়ে যাত্রী ওঠানামার চেষ্টা করেন চালক-হেলপাররা। ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে বেশ সক্রিয় দেখা গেলো সহকারী টাউন সাব-ইন্সপেক্টর বেলাল হোসেনকে।
জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা খুব চেষ্টা করি বাসগুলোকে স্টপেজ ব্যবহার করানোর জন্য। কিন্তু কেউ নিয়ম মানতে চায় না। জেব্রা ক্রসিং, ওভারব্রিজ ব্যবহার করলে ও সচেতন হলে দুর্ঘটনাও কমে যাবে।
এনএমএন