টেকসই উন্নয়নে জাতীয় নীতি ও আইন প্রণয়ন জরুরী: পরিকল্পনাবিদরা

বর্তমান বাস্তবতায় পরিকল্পনা অনুশীলনের গুরুত্ব ও সম্প্রসারণ ছাড়া দেশের উন্নয়ন ব্যবস্থা টেকসই করা সম্ভব নয়। তাই সত্যিকার অর্থে পরিকল্পনার অনুশীলন করতে জাতীয় নীতি ও আইন প্রণয়নের উপর গুরুত্বারোপ করেছেন পরিকল্পনাবিদরা।
শনিবার বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্স (বি.আই.পি.)-র বার্ষিক সাধারণ সভায় এসব কথা বলেন তারা। বি.আই.পি.-র কনফারেন্স হলে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন ইনস্টিটিউটের সহ-সভাপতি পরিকল্পনাবিদ অধ্যাপক ড. আকতার মাহমুদ।
সভায় পরিকল্পনাবিদরা পরিকল্পনা পেশার উন্নয়ন, চাকুরির ক্ষেত্রে পরিকল্পনাবিদদের সুযোগ সম্প্রসারন, প্ল্যানিং ক্যাডার চালুকরণ, পেশাজীবী সংস্থা হিসাবে পরিকল্পনাবিদদের পেশাগত উন্নয়নে বি.আই.পি.-র করণীয় এবং বি.আই.পি. কে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য পরিকল্পনাবিদদের করণীয়সহ বিভিন্ন পরামর্শ প্রদান করেন। এছাড়াও সকল উপজেলাভিত্তিক মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের মাধ্যমে সকল গ্রাম ও ইউনিয়নের মধ্যে সমন্বয় সাধন করে গ্রাম পর্যায়ে নাগরিক সুযোগ-সুবিধা নিশ্চতকরণের উপর গুরুত্বারোপ করেন তারা।
তারা বর্তমান সরকারের লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী ইউনিয়ন সেন্টার পরিকল্পনা জরুরী বলে মনে করেন। পরিকল্পিতভাবে ইউনিয়ন সেন্টার পরিকল্পনার মাধ্যমে সেখানে আবাসন, শিক্ষা, স্কুল, কলেজ ও অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, খেলার মাঠ, ব্যাংক, পুলিশ ফাঁড়ি, পানি সরবরাহ ও পয়ঃনিষ্কাশন এবং বিদ্যুৎ ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে বলে সভায় উপস্থিত পরিকল্পনাবিদগণ মতামত প্রদান করেন।
সভায় উপস্থাপিত প্রতিবেদনে বলেন, বি.আই.পি.-কে ভবিষ্যতে নগর ব্যবস্থাপনা ও নগর পরিকল্পনার সকল স্তরে, বিশেষ করে শহর ও নগরের মহাপরিকল্পনা এবং বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনাসমূহের সঠিকভাবে বাস্তবায়নের প্রয়োজনীয়তার স্বার্থে নগর উন্নয়ন সংস্থাগুলোকে ক্রমাগত পরামর্শ ও নিরীক্ষণের দায়িত্ব বা সহায়তা করতে হবে। ,আন্তর্জাতিক পরিমাপে ঢাকা বসবাসের অযোগ্য শহর হিসেবে ইতিমধ্যে বিবেচিত হয়েছে। বাংলাদেশের জাতীয় পেশাজীবী সংগঠন হিসেবে বি.আই.পি-কে এ বিষয়ে গবেষণা ও পরিকল্পনার নিরিখে সরকার ও অন্যান্য পেশাজীবী সংগঠনের মতামত সাপেক্ষে বিশেষ করণীয় পদ্ধতি উদ্ভাবন করতে হবে। একইসাথে পরিকল্পনাবিদদের নিয়োগ এবং কাজের ব্যাপ্তি নিয়ে বি.আই.পি.-কে জাতীয় পর্যায়ে আন্দোলন ও নিজেদের পেশাগত স্বার্থ উদ্ধারের জন্য ক্রমাগত কার্যক্রম চালাতে হবে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়।
বি.আই.পি.-র ১৩তম কার্যনির্বাহী পরিষদের সাধারণ সম্পাদক পরিকল্পনাবিদ ড. আদিল মুহাম্মদ খান ২০১৮ সালে বি.আই.পি.-র বিভিন্ন কর্মকান্ড সম্পর্কে একটি বিশদ প্রতিবেদন পাঠ করেন। বি.আই.পি.-র কোষাধ্যক্ষ পরিকল্পনাবিদ আলিম-আল-রাজী বার্ষিক সাধারন সভায় উপস্থিত সকল পরিকল্পনাবিদ সদস্যদের সামনে বিগত ২০১৭-১৮ অর্থবছরের বি.আই.পি.-র আয়-ব্যয়ের পর্যালোচনা পূর্বক একটি পূর্নাঙ্গ অডিট রিপোর্ট উপস্থাপন করেন।