স্বর্ণ চোরাকারবারি মোহাম্মদ আলীর বিরুদ্ধে দুদকের চার্জশীট
প্রায় ৪১ কোটি টাকার স্বর্ণ চোরাচালানের অভিযোগে আলোচিত স্বর্ণ চোরাকারবারি শেখ মোহাম্মদ আলী ওরফে এসকে মোহাম্মদ আলীর বিরুদ্ধে চার্জশীট দাখিলের অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বৃহস্পতিবার (৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে চার্জশীট দাখিলের অনুমোদন দেওয়া হয় বলে দুদক সূত্র নতুন সময়কে জানিয়েছে।
দুদক সূত্রে জানা যায়, এসকে মোহাম্মদ আলী দুর্নীতি দমন কমিশনে দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে মোট ৩০ কোটি ৭৮ লাখ ৯৬ হাজার ৬২৩ টাকার সম্পদের কথা উল্লেখ করেছেন। যেখানে ৪ কোটি ৮৮ লাখ ৬৬ হাজার ১৫০ টাকার স্থাবর সম্পত্তি ও ২৫ কোটি ৯০ লাখ ৩০ হাজার ৪৭৩ টাকার অস্থাবর সম্পত্তি রয়েছে।
তবে দুদকের তদন্তে দেখা যায়, মোহাম্মদ আলীর নামে জ্ঞাত আয়বহির্ভুত আরও ৪৯ কোটি ৯১ লাখ ৮১ হাজার ৩৭৫ টাকার সম্পত্তি রয়েছে।
দুদকে দাখিল করা সম্পত্তির বাইরেও তার নামে রাজউকের পূর্বাচল প্রকল্পে ১০ কাঠা জমি রয়েছে। এছাড়া সিলেট শহরে রয়েছে ৯৫ লাখ ১১ হাজার ৩৭৫ কোটি টাকা মূল্যের ৬ তলা বাড়ি। উল্লেখ করা সম্পত্তি ছাড়াও তার কাছে ৬১ কেজি ৫৩৮ গ্রান স্বর্ণ পাওয়া যায়। যার মূল্য ৩০ কোটি ৭৬ লাখ ৯০ হাজার টাকা।
এর বাইরেও তার কাছে ছিল ৩ কোটি ২৯ লাখ ৯০ হাজার টাকার সৌদি রিয়াল ও বিদেশী মুদ্রা। বাংলাদেশি টাকা হিসেবে নগদ পাওয়া যায় ৫ কোটি ৫৯ লাখ ৯০ টাকা। ফলে তার মোট স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ দাঁড়ায় ৭১ কোটি ৭০ লাখ ৭৭ হাজার ৯৯৮ টাকা। দুদকে জমা দেওয়া সম্পদ বিবরণীতে মোহাম্মদ আলী ৪০ কোটি ৯১ লাখ ৮১ হাজার ৩৭৫ টাকার সম্পত্তির তথ্য গোপন করেন।
দুদক বলছে, গোপনকৃত ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পত্তি অর্জন এবং সম্পদের মিথ্যা তথ্য বিবরণ দিয়ে শেখ মোহাম্মদ আলী দুর্নীতি দমন কমিশন আইন ২০০৪ এর ২৬ (২) ও ২৭ (১) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন। এ অপরাধে দুদক এই চার্জশিটের অনুমোদন দিয়েছে।
একেএ