ঢাকা শুক্রবার, ১১ই এপ্রিল ২০২৫, ২৯শে চৈত্র ১৪৩১


অংশগ্রহণমূলক সুষ্ঠু নির্বাচনে সবপক্ষের সহযোগিতা দরকার


৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০২:২৪

নির্বাচন কমিশনের একার পক্ষে সুষ্ঠু, অবাধ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন সম্ভব নয়। নির্বাচন কমিশন ছাড়াও সরকার, রাজনৈতিক দল, ভোটার ও গণমাধ্যমের ভূমিকা রয়েছে। অংশগ্রহণমূলক সুষ্ঠু নির্বাচন করতে হলে সবপক্ষ সহযোগিতা না করে নির্বাচন কমিশনকে দোষারোপ করে কোনো লাভ হবে না।

বৃহস্পতিবার (০৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ঢাকায় অনুষ্ঠিত সার্কভুক্ত প্রধান নির্বাচন কমিশনারদের সংগঠন দ্য ফোরাম অব ইলেকশন ম্যানেজমেন্ট বডিজ অব সাউথ এশিয়ার (ফেমবোসা) সম্মেলনে আলোচনাকালে বিচারপতি মো. আব্দুল রউফ ও ড. এ টি এম শামসুল হুদা এমন মন্তব্য করেন।

ড. এ টি এম শামসুল হুদা’র কমিশনেই ২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এর পরের দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে রয়েছে নানা প্রশ্ন।

এ টি এম শামসুল হুদা বলেন, নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি করার দায়িত্ব মূলত সরকারের। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের পদ্ধতি সংবিধান থেকে উঠে গেছে। এই পরিস্থিতিতে কী করলে আস্থাভাজন হতে পারে সে ব্যবস্থাগুলো নিতে হবে। আর এ দায়িত্ব সরকারের।

১৯৯০ সালের ২৫ ডিসেম্বর থেকে ১৯৯৫ সালের ১৮ এপ্রিল পর্যন্ত প্রধান নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব পালন করা বিচারপতি মো. আব্দুল রউফ বলেন, রাজনীতিটাকে যদি রাজার নীতি ধরেন, তাহলে নির্বাচনের দরকার নেই। আর রাজনীতিকে যদি নীতির রাজা হিসেবে চিন্তা করি তাহলে নির্বাচনের দরকার আছে। আমরা ওইভাবে চিন্তা করতে পারছি না কেন? যতকিছুই হোক, নির্বাচন ছাড়া আমাদের কোনো গতান্তর নেই।

নির্বাচনের আসল খেলোয়াড় ভোটার উল্লেখ করে সাবেক এ প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, নির্বাচনের দিন এসপি, কমিশনার কিছু না, তারা ভোটার। এই সংস্কৃতি আমরা যদি ডেভেলপ করতে পারি, তাহলে নির্বাচন যে চিন্তাধারায় আমরা চিন্তা করি, সেটা করা সম্ভব। আর যদি এই সংস্কৃতি তৈরি করতে না পারি, তাহলে এটা খুব অসম্ভব। আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনও ফলপ্রসূ হবে না, যদি ভোটারদেরকে প্রাধান্য না দেওয়া সম্ভব হয়।

এ টি এম শামসুল হুদা বলেন, নির্বাচনের কাজটা নির্বাচন কমিশনের একার কাজ না। এখানে অনেকগুলি পক্ষ আছে। সরকার এক পক্ষ, ভোটাররা আরেক পক্ষ, রাজনৈতিক দল আরেক পক্ষ ও মিডিয়া আরেক পক্ষ। সব পক্ষ যদি নিয়ম মত তাদের রুলস অব গেইম অনুযায়ী যদি খেলাটা না খেলে, শুধু নির্বাচন কমিশন একা তো অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে পারবে না। এই জিনিসটা আমরা প্রায়ই ভুলে যাই।

এ বিষয়ে আব্দুর রউফ বলেন, সবাই মিলে যদি নির্বাচন কমিশনকে সাহায্য করে, নির্বাচন কমিশন শুধু লাইনটা ঠিক রাখবে। সেভাবে অগ্রসর হবে। নির্ভর করছে সবার ওপরে।

উল্লেখ্য, দুই দিনের এ সম্মেলন বৃহস্পতিবার বিকেলে শেষ হয়েছে।

একেএ