হলফনামা পর্যবেক্ষণ করে পদক্ষেপ নেয়া শুরু করছে দুদক

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেয়া প্রার্থীদের হলফনামায় উল্লেখ করা সম্পদের বিবরণ এবং আয়ের উৎস পর্যালোচনা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
হলফনামায় উল্লেখিত সম্পদ এবং আয়ের উৎসের বিষয়ে কোন গড়মিল অথবা কালো টাকার সন্ধান পাওয়া গেলে সেই প্রার্থীর বিরুদ্ধে আগামী ১৫ তারিখ থেকে ব্যবস্থা গ্রহণ করা শুরু হবে। আজ সেগুনবাগিচা প্রধান কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে এসব কথা বলেন দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ।
নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যদের নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া হলফনামা দুদক সংগ্রহ করেছে জানিয়ে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, এটা ধর-মার-কাট কোনো বিষয় নয়। যেখানেই দুর্নীতি পাবো সেখানেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্ত্রিপরিষদ থেকে বাদ পড়া অনেকেরে বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে- সংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অভিযোগ যদি থাকে আমরা অনুসন্ধান করবো, দৃশ্যমান করবো।
আগামী দুই মাসের মধ্যে দুদকের বিভিন্ন তদন্তের দৃশ্যমান অগ্রগতি দেখা যাবে উল্লেখ করে ইকবাল মাহমুদ বলেন, দুর্নীতি দমনে নতুন সরকারের যে রাজনৈতিক অঙ্গীকার তা আমাদের আত্মবিশ্বাসী করে তুলেছে। আমরা সরকারের এ দুর্নীতি বন্ধের অঙ্গীকার বাস্তবায়নে সর্বশক্তি নিয়োগ করবো।
এছাড়া, নিয়োগ বাণিজ্য, ভর্তি বাণিজ্য, কমিশন বাণিজ্যসহ যেখানেই দুর্নীতির গন্ধ পাবো সেখানেই গিয়ে আমরা হাজির হবো।
বেসিক ব্যাংক সম্পর্কে এক প্রশ্নের জাবাবে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, কেবল বেসিক ব্যাংক নয়, আর্থিক খাতের সব দুর্নীতি বন্ধে কাজ করবে দুদক। তবে কোনো মেগা প্রকল্প, জনবল নিয়োগের বিষয়ে দুদক সরাসরি সম্পৃক্ত হবে না। আমরা দেখবো এবং ধরবো। ‘মর্নিং শোজ দ্যা ডে’। আমার বিশ্বাস এ সরকার দুর্নীতির রশি টেনে ধরবে।
নতুনসময়/এসএ/আইএ