ঢাকা মঙ্গলবার, ২২শে এপ্রিল ২০২৫, ১০ই বৈশাখ ১৪৩২


'মন্ত্রিসভায় ঠাঁই পাওয়া কাউকে স্থায়ী মনে করা ঠিক হবে না'


৮ জানুয়ারী ২০১৯ ০০:৫৫

ফাইল ফটো

নতুন মন্ত্রিসভায় ঠাঁই পাওয়া সদস্যরা স্থায়ীভাবে দায়িত্ব পালন করে যাবেন এটা মনে করার কোনো কারণ নেই বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। সোমবার (৭) জানুয়ারী সচিবালয়ে প্রস ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, 'নতুন মন্ত্রিসভা গঠিত হলো। ভবিষ্যতে আরও সম্প্রসারণ হতে পারে। পাঁচ বছর অনেক সময়। কখন কে আসবে, কখন কে যাবে? এখন যারা আছেন তারা স্থায়ী এটা তো মনে করার কারণ নেই।'

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ইশতেহার বাস্তবায়নে অভিজ্ঞতা, তাদের এনার্জি দুটোর সমন্বয়ে নবীন-প্রবীণের এই মন্ত্রিসভা গঠন করা হয়েছে। ট্রেডিশন অ্যান্ড টেকনোলজির সমন্বয়ে একটা ব্যালেন্স করে এই মন্ত্রিসভা করা হয়েছে। এর কারণ হলো যাতে আমাদের লক্ষ্য বাস্তবায়নটাকে সহজতর করা যায়।’

শরিক দলের কেউ মন্ত্রিসভায় নেই, এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘শরিক দলগুলো তো আমাদের সঙ্গে আছে। মন্ত্রী হলে শরিক থাকবেন, মন্ত্রী না হলে থাকবেন না এমন তো না।’

কাদের বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে মন্ত্রিসভা উপহার দিয়েছেন জনগণ কীভাবে নিচ্ছে সেটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ফেসবুক আসাতে অনেকেই ফেসবুকে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন, টেলিভিশনের টকশোতে প্রশংসা এসেছে। এই যে প্রত্যাশা, প্রত্যাশার সঙ্গে বাস্তবতার মিল কতটুকু, নতুন মন্ত্রীরা যখন দায়িত্ব পালন করবেন সেটার ওপর নির্ভর করবে তাদের সাফল্য-ব্যর্থতা।

তিনি আরো বলেন, ‘মন্ত্রিসভার নতুন সদস্যদের পাশাপাশি অভিজ্ঞ মন্ত্রীরাও তো আছেন। আইনমন্ত্রী আছেন, মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রী, পরিকল্পনা মন্ত্রী আছেন। ড. হাছান মাহমুদ, ড. আবদুর রাজ্জাক, দীপু মনি এরা তো আগেই মন্ত্রী ছিলেন।’

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘দুর্নীতি দমন করাই নতুন সরকারের মন্ত্রিসভার সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।

মন্ত্রিসভা থেকে অনেকের বাদ পড়া প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের এ নেতা বলেন, ‘এটি মন্ত্রিসভা থেকে বাদপড়া নয় দায়িত্বের পরিবর্তন।’

তিনি বলেন, ‘সরকার ও দলের আলাদা আলাদা সত্তা রয়েছে। একটা সুগঠিত সরকারের পাশাপাশি একটি সুসংগঠিত দল গঠনে সিনিয়র লিডাররা ভূমিকা রাখবেন। সিনিয়রা কোনোদিক থেকে অযোগ্য তা নয়, এটি মন্ত্রিসভা থেকে বাদপড়া নয় বরং দায়িত্বের পরিবর্তন।’