পরিবেশটা মাঠে থাকার মত নেই, সুব্রত চৌধুরী

জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের অন্যতম নেতা ও গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী অভিযোগ করে বলেন, জনগণ যেন তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে না পারে। সেজন্য আইনশৃঙ্খলা ও তাদের বাহিনী মিলে অবৈধ পন্থাগুলো গ্রহণ করেছে। নির্বাচনের দিন তারা কি করবে বুঝতে পারছেন? আমার কাছে মনে হচ্ছে জাতি একটা মহা সংকটের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে ।
আজ মঙ্গলবার (২৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর গুলশান বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে জাতীয় ঐক্যফন্টের স্টেয়ারিং কমিটির এক বৈঠকে যোগদানের পূর্বে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
সুব্রত চৌধুরী বলেন, প্রার্থী ও নেতাকর্মীদের ছাড়ছে না। বর্তমান পরিবেশটা মাঠে থাকার মত নেই। আমরা বারবার বলছি শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে থাকবো শত প্রতিকূলতার মধ্যে। জনগণের মধ্যে যে গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে তা দেখে সরকার ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে গেছে।
তিনি বলেন, আজ বিকাল চারটায় সিদ্দিকবাজারে আমরা একটা নির্বাচনী অফিস উদ্বোধন করি শ'পাঁচেক লোক সেখানে উপস্থিত ছিল। আমাদের নেতাকর্মীরা দুইটা মিনি ট্রাক ছিল। সেখানে নির্বাচনী গান বাজছিল।
তিনি আরও বলেন, আমাদের প্রায় পাঁচ , ছয়শোত লোক মিছিল করে সিদ্দিক বাজার সহ বংশালে বিভিন্ন এলাকায় আমরা প্রচারণা চালাচ্ছিলাম। হঠাৎ করে পেছন থেকে পুলিশ আমাদের উপর আক্রমণ করলো। এবং আমাদের কর্মীরা যখন তাদের দেখলো এর কিছুক্ষণ পরে পুলিশ এবং লাঠিয়াল বাহিনী হুইসেল বাজিয়ে আমাদের নেতাকর্মীদের উপর আক্রমণ করে।
এসময় তিনি অভিযোগ করে বলেন,এ অবস্থায় আমি একটা বাড়িতে যেয়ে আশ্রয় নেই। আমি আমার পায়ে আঘাত পেয়েছি। আমাদের প্রায় দশ, থেকে বারোজন কর্মী আহত হয়েছে।
সে সময় কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঠিক কতজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে সঠিক ভাবে এখনো বলতে পারছি না।
আমার সহযোগী অ্যাডভোকেট রাসেল তাকে বংশাল থানা পুলিশ গ্রেপ্তার করে নিয়ে গেছে। তাকে মুক্ত করার জন্য আইনজীবীরা গেছেন। এই যদি অবস্থা হয় তাহলে আমরা কিভাবে নির্বাচনী প্রচারণা চালাবো।
ঐক্যফ্রন্টের অন্যতম নেতা এই নেতা আরও বলেন,সকালে যখন আমি গির্জায় যাই খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় এর জন্য সেখান থেকে বের হওয়ার সময় প্রায় বারো জন আমাদেরকে চার্জ করে সেটা থেকে আমরা কিছুটা কাটিয়ে বের হয়ে আসি। কিন্তু বিকেলে তো আমরা কাটাতে পারেনি। তারা সরাসরি পেছন ও সামনের দিক থেকে একবার আক্রমন করলো।
তিনি হতাশা প্রকাশ করে বলেন, এই যদি হয় অবস্থা বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের মাঠে নামতে দেবে না। তাদের গ্রেপ্তার করবে এলাকায় কাউকে থাকতে দেবে না মারপিট করে তারা চাচ্ছে একতরফা নির্বাচন করতে এবং তাদের আগে থেকে যে নীলনকশা ছিল, আমরা নির্বাচনে যাওয়ার পর থেকে সরকার হতাশ হয়ে গেছে। আমরা কেন নির্বাচনে আসছি। আমরা আশা করেছিলাম সেনাবাহিনী মাঠে নামার পর একটা সুন্দর পরিবেশ পাবো। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের বিষয় সেই সুযোগটা নেই। আমার মনে হচ্ছে আরো বেশি তারা আমাদের উপর আক্রমনাত্মক হয়ে গেছে তারা।