ঢাকা মঙ্গলবার, ২২শে এপ্রিল ২০২৫, ১০ই বৈশাখ ১৪৩২


ইসির আচরন অসন্তুষ্টে,সভা থেকে উঠে গেলেন ঐক্যফ্রন্ট নেতারা


২৬ ডিসেম্বর ২০১৮ ০২:৫৩

ছবি সংগৃহিত

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদার সঙ্গে বৈঠক চলাকালীন সেখান থেকে উঠে এসেছেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নেতারা। আজ মঙ্গলবার দুপুরে বিভিন্ন অভিযোগ জানাতে ঐক্যফ্রন্টের নেতারা নির্বাচন কমিশনে গিয়েছিলেন। বৈঠক বর্জন করে বিএনপি মহাসচিব ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মুখপাত্র মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সিইসির আচরণ ভদ্রজনিত ছিল না। এ জন্য আমরা সভা বয়কট করেছি। তবে আমরা নির্বাচনে ফাঁকা মাঠে গোল দিতে দেব না।

দুপুর ১২টায় বৈঠক শুরু হয়। প্রায় দুই ঘণ্টার পর ২টার দিকে তারা বৈঠক বর্জন করেন। বৈঠক থেকে বের হয়ে সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন মির্জা ফখরুল। সংবাদ সম্মেলনের আগে বৈঠক থেকে ক্ষুদ্ধ ড. কামাল হোসেনও বেরিয়ে চলে যান।

সভা থেকে বেরিয়ে এসে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করেছেন, সারা দেশে বিরোধী দলের নেতা কর্মীদের হত্যা, আক্রমণ অগ্নিসংযোগ করা হচ্ছে। পুলিশ বিরোধী দলের ওপর চড়াও হচ্ছে। বিষয়গুলো প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কাছে জানিয়েছি। কিন্তু তার আচরণ দেখে মনে হয়েছে তিনি এতে গুরুত্ব দেননি। এসব বিষয়ে তিনি গুরুত্ব দেখাননি। এমন আচরণ করেছেন যেন আমরা মিথ্যা অভিযোগ করেছি। এ অবস্থায় আমরা সভা বর্জন করে সেখান থেকে উঠে এসেছি।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ১০ জন নেতা আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে করতে যান। বৈঠকের একপর্যায়ে ঐক্যফ্রন্ট নেতারা সভা ত্যাগ করে উঠে আসনে।

মির্জা ফখরুল বলেন, আসলে সরকার ও প্রধান নির্বাচন কমিশনার নির্বাচন বানচাল করার চেষ্টা করছে। নির্বাচন কতটা সুষ্ঠু হবে তার জবাব জাতির কাছে এসে গেছে। ঢাকা শহর দেখে মনে হচ্ছে না দেশে নির্বাচন হচ্ছে। এ নির্বাচন সাংবিধানিক ধারা রক্ষার নির্বাচন। নির্বাচন কমিশনের উদ্দ্যেশ কি?
নির্বাচন থেকে সরে আসবেন কি না এমন প্রশ্নে মির্জা ফখরুল বলেন, এ সিদ্ধান্ত জনগণ নেবে। তবে আমরা সরকারকে ফাঁকা মাঠে গোল দিতে দেব না।
ড. কামাল হোসেন বলেন, পুলিশ ও আওয়ামী লীগের গুন্ডা বাহিনী আমাদের ওপর হামলা করছে। আমাদের প্রার্থীদের জীবনের দাম না থাকলেও কর্মীদের জীবনের দাম রয়েছে। তাদের তো সেভ করতে হবে।
এ সময় সিইসি ক্ষুব্ধ হয়ে ড. কামাল হোসেনকে বলেন -আপনি এমন কী হয়েছেন যে, পুলিশকে লাঠিয়াল-জানোয়ার বলেছেন। নিজেকে কী মনে করেন? তখন মঈন খান সিইসিকে বলেন, নির্বাচনের কোনো পরিবেশ যদি সৃষ্টি করতে না পারেন, তাহলে বলে দেন, আমরা আজকেই প্রেসক্লাবে গিয়ে সংবাদ সম্মেলন করে বর্জনের বিষয়ে ঘোষণা দেব।

সেখানে এসময় উপস্থিত ছিলেন ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ ড. কামাল হোসেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মঈন খান, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।