ঢাকা মঙ্গলবার, ২২শে এপ্রিল ২০২৫, ১০ই বৈশাখ ১৪৩২


খাগড়াছড়ি- বান্দরবান বিওপি’র উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড পরিদর্শন করলেন বিজিবি মহাপরিচালক


১১ ডিসেম্বর ২০১৮ ১০:০২

আজ ১০ ডিসেম্বর বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ(বিজিবি)এর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল সাফিনুল ইসলাম বান্দরবান সেক্টর সদর দপ্তর এবং খাগড়াছড়ি সেক্টরের সবচেয়ে দুর্গম এলাকা‘উত্তর লক্কাছড়া’বিওপি এবং ‘কান্তালং’বিওপি পরিদর্শন করেছেন।

এছাড়া ০৯ ডিসেম্বর কক্সবাজারে অবস্থিত রামু রিজিয়ন সদর দপ্তর ও টেকনাফ ব্যাটালিয়নের সীমান্ত এলাকা পরিদর্শন করেন।

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই তথ্য জানান।

১০ ডিসেম্বর সকালে বান্দরবান সেক্টর সদর দপ্তরে আয়োজিত দরবারে বিজিবি সদস্যদের দেশপ্রেম, শৃঙ্খলা, সততা ও দক্ষতার সমন্বয়ে বিজিবি'র উপর অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালনের নির্দেশ প্রদান করেন মহাপরিচালক মেজর জেনারেল সাফিনুল ইসলাম।

দুপুরে বিজিবি মহাপরিচালক খাগড়াছড়ির সবচেয়ে দুর্গম সীমান্ত ‘উত্তর লক্কাছড়া’ এবং ‘কান্তাল’বিওপিতে বাস্তবায়িত বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড পরিদর্শন করেন।

প্রসঙ্গত জানা যায়, এ দু'টি বিওপি এতই দুর্গম যে, ব্যাটালিয়ন সদর হতে পায়ে হেঁটে পৌঁছাতে ৪-৫ দিন সময় লাগে।এই কারনে হেলিকপ্টারযোগে বিওপিতে মাসে ১-২ বার রেশন ও তাজা খাবার সরবরাহ করা হয়।বিওপিতে যাতায়াতের সুবিধার্থে পায়ে চলার রাস্তা নির্মাণের কাজ বিজিবি মহাপরিচালকের উদ্দ্যগেই হচ্ছে ।

এছাড়া ঐ এলাকায় বিজিবি’র নিজস্ব অর্থায়নে মোবাইল টাওয়ার স্থাপন, সৌর বিদ্যুতের সাহায্যে বিভিন্ন ধরণের লাইট, ফ্যান ও বৈদ্যুতিক যন্ত্র চালানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে।

৯ ডিসেম্বর বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল সাফিনুল ইসলাম কক্সবাজার ও টেকনাফ ব্যাটালিয়ন পরিদর্শনের সময় বিজিবি সদস্য ও কর্মকর্তাদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

এ সময় তিনি কক্সবাজারের জেলা প্রশাসন ও পুলিশ কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় করেন।

টেকনাফ ব্যাটালিয়নের সীমান্ত এলাকা পরিদর্শনের সময় তিনি সরকারের মাদক বিরোধী অভিযানের সাথে সবাইকে একাত্মতা ঘোষণা করে মাদকের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার আহবান জানান তিনি।

টেকনাফ সীমান্তে মাদক পাচার ও চোরাচালান প্রতিরোধে বিজিবি'র অপারেশনাল কার্যক্রমে এই সার্ভেইল্যান্স সিস্টেমকে আরো কার্যকর করতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন তিনি।

মহাপরিচালক এ সময় বিজিবি সদস্যদের জানান,বর্তমান সরকারের আন্তরিক প্রচেষ্টায় বিজিবি’র এয়ার উইং সৃজিত হয়েছে এবং খুব শীঘ্রই দু’টি হেলিকপ্টার ক্রয় করা হবে।

হেলিকপ্টার দু’টি ক্রয় সম্পন্ন হলে পার্বত্য এলাকার দুর্গম বিওপিতে সহায়তা প্রদান করা আরো সহজ হবে এবং বিওপি'র অপারেশনাল দক্ষতা ও প্রশাসনিক ব্যবস্থাপনা আরো বৃদ্ধি পাবে।

বিওপি পরিদর্শনকালে দক্ষিণ-পূর্ব রিজিয়ন, চট্টগ্রাম এর রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ আদিল চৌধুরী, পিএসসি, বিজিবি’র অন্যান্য কর্মকর্তা এবং প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।