ঢাকা মঙ্গলবার, ২২শে এপ্রিল ২০২৫, ১০ই বৈশাখ ১৪৩২


জোট নয়,বরং দলের শক্তিতেই ভরসা আ’লীগের


১১ ডিসেম্বর ২০১৮ ০০:০৮

ফাইল ফটো

আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জোটের নয়,বরং দলের শক্তিতেই ভরসা রাখছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ।

আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের নেতারা বলছেন, বিএনপিসহ অন্যান্য দল ভোটে আসায় এবার একটি প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন হতে যাচ্ছে।

যে কারণে জেতার মতো প্রার্থীদের মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।

আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধভাবে নির্বাচনী মাঠে নামানোর জন্যই মূলত নৌকা মার্কাকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।

আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন জোটে দলের সংখ্যা বাড়লেও শরিকদের জন্য কমেছে বরাদ্দকৃত আসনের সংখ্যা।

নির্বাচনের আগ দিয়ে এবারও অনেক নামসর্বস্ব দল আওয়ামী লীগের নির্বাচনী জোটে যোগ দিলেও তাদের বেশিরভাগকেই কোনো আসন দেওয়া হয়নি।

একাদশ সংসদ নির্বাচনে মহাজোটের অন্যতম শরিক জাতীয় পার্টির জন্য ২৭টি আসন ছেড়েছে আওয়ামী লীগ।

যদিও গত দশম সংসদ নির্বাচনে দলটি পেয়েছিল ৩৪ আসন।

গত পাঁচ বছরে মহাজোটের কাছে জাতীয় পার্টির আসন কমেছে ৭টি।

আওয়ামী লীগের আদর্শিক জোট ১৪ দলের শরিকদের আসনও কমেছে এবার।

গত নির্বাচনে ওয়ার্কার্স পার্টি আওয়ামী লীগের কাছ থেকে পেয়েছিল ৬টি আসন।

এবার ওয়ার্কার্স পার্টির একটি আসনে ক্রিকেটার মাশরাফি বিন মুর্তজা নির্বাচন করায় দলটি পেয়েছে ৫টি আসন।

এই পাঁচটির মধ্যে বরিশাল-৩ আসনে ওয়ার্কার্স পার্টির প্রার্থীর বিপক্ষে আওয়ামী লীগ কোনো প্রার্থী না দিলেও জাতীয় পার্টি দিয়েছে।

জাতীয় পার্টি এ আসনটি এখনো চাইছে আওয়ামী লীগের কাছে।

সে ক্ষেত্রে যদি আসনটি জাতীয় পার্টি পায়, তা হলে ওয়ার্কার্স পার্টির বরাদ্দ আরও কমে এসে দাঁড়াবে ৪টিতে।

গত নির্বাচনে অবিভক্ত জাসদের প্রার্থী ছিল ৫ জন।

এবার বিভক্ত জাসদের দুই অংশের মধ্যে হাসানুল হক ইনুর নেতৃত্বাধীন অংশ আওয়ামী লীগের কাছ থেকে বরাদ্দ পেয়েছে ৩টি আসন।

আর শরীফ নুরুল আম্বিয়ার অংশ পেয়েছে ১টি আসন।

ইনু অংশের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক দুজনই নৌকা প্রতীক পেলেও অন্য অংশের সভাপতি আম্বিয়া নিজে চেয়ে মনোনয়ন পাননি নড়াইল-১ আসনে।

আম্বিয়া গ্রুপের সম্পাদক নাজমুল হক প্রধানও পঞ্চগড়ে নিজের আসনটি হারিয়েছেন।

তিনি টানা দুই মেয়াদে পঞ্চগড়-১ আসনের প্রার্থী থাকলেও এবার মনোনয়ন পাননি, পেয়েছেন আওয়ামী লীগের একজন।

তরিকত ফেডারেশন গতবারের মতো এবারও দুটি আসনে মনোনয়ন পেয়েছে ১৪-দলীয় জোট থেকে।

দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের একক প্রার্থী ছিল ২৩৩ জন; এবার বেড়ে হয়েছে ২৫৮ জন।

আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের নেতারা বলছেন, বিএনপিসহ অন্যান্য দল ভোটে আসায় এবার একটি প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন হতে যাচ্ছে।

যে কারণে জেতার মতো প্রার্থীদের মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।

আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধভাবে নির্বাচনী মাঠে নামানোর জন্যই মূলত নৌকা মার্কাকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।