রূপগঞ্জে মাদকসেবীদের আগুনে পুড়লো ৩০টি টিনের ঘর

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে স্থানীয় মাদকসেবীদের দেয়া আগুনে ৩০টি টিনের ঘর পুড়ে ছাই হয়েছে ।
অল্পের জন্য রক্ষা পেলো পার্শবর্তী পেপার কারখানাসহ সাড়ে ৩ শতাধীক শ্রমিক-কর্মচারী।
শুক্রবার সকালে উপজেলার সাওঘাট এলাকায় ঘটে এ অগ্নিকান্ডের ঘটনা।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা জানান, সাত্তার ও মনির হোসেন নামে দুই প্রভাবশালী সাওঘাট ফ্লাইওভার সংলগ্ন সরকারী খাস জমি জবরদখল করে ৩০টি টিনের ঘর নির্মাণ করে।
ওই সব টিনের ঘর গুডাউন হিসেবে স্থানীয় কয়েকজন অবৈধ পলিথিন ব্যবসায়ীকে ভাড়া দেয়া হয়। এসব টিনের ঘরে পলিথিন ব্যবসার আড়ালে মাদক ব্যবসা, মাদকসেবন ও নারী ব্যবসা চালিয়ে আসছিলো।
সকাল সাড়ে ১০টার দিকে একদল মাদকসেবী মাদক সেবন করতে টিনের ঘরে প্রবেশ করে। পরে হঠাৎ করে ঘরে আগুন লেগে গেলে মাদকসেবীরা দৌড়ে পালিয়ে যায়।
এরপর আগুনের লেলিহান শিখা বেড়ে ৫০ থেকে ৬০ ফুট উচুঁতে উঠে পড়ে।
এক পর্যায়ে ওই ৩০টি ঘরেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে। আগুনে পার্শবর্তী জাপান বাংলাদেশ সিকিউরিটি প্রিন্টিং এন্ড পেপার্স লিমিটেড কারখানার গøাস ফেটে যায়। আতঙ্কিত হয়ে পড়েন প্রায় সাড়ে ৩ শতাধীক শ্রমিক-কর্মচারী।
খবর পেয়ে কাঞ্চন, আড়াইহাজার থানার ফায়ার সার্ভিসের ৩টি ইউনিট ঘটনাস্থলে এসে স্থানীয় এলাকাবাসী ও জাপান বাংলাদেশ সিকিউরিটি প্রিন্টিং এন্ড পেপার্স লিমিটেড কারখানার কর্তৃপক্ষের সহযোগীতায় আগুন নেভাতে সক্ষম হন। ততক্ষনে ওই ৩০টি টিনের ঘর পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
জাপান বাংলাদেশ সিকিউরিটি প্রিন্টিং এন্ড পেপার্স লিমিটেড কারখানার আইনজীবি শরিফুজ্জামান জানান, সরকার অনুমোদনকৃত এ কারখানায় ব্যাংকের চেক, সার্টিফিকেট, স্ট্যাম্পসহ অন্যান্য গুরুত্বপুর্ন কাগজপত্র তৈরি হয়ে থাকে। অল্পের জন্য রক্ষা পেলো প্রতিষ্ঠানটি।
কারখানার আশ-পাশে মাদক ও নারী ব্যবসা বন্ধের দাবি জানান তিনি।
ভুলতা ফাঁড়ির ইনচার্জ ইন্সপেক্টর রফিকুল হক বলেন, মাদকসেবী ও মাদক ব্যবসায়ীসহ নারী ব্যবসায়ীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
এছাড়া সরকারী জমিতে অবৈধ ভাবে এ ধরনের স্থাপনা আর করতে দেয়া হবে না।
এমএল