খোকাসহ ৪ জনের দশ বছরের জেল

ঢাকা সিটি করপোরেশনের (ডিসিসি) দুর্নীতির একটি মামলায় বিদেশে অবস্থানরত সাবেক ডিসিসি মেয়র ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সাদেক হোসেন খোকাসহ চার আসামির দশ বছর করে কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ডও দিয়েছে আদালত। সাদেক হোসেন খোকাকে ২০ লাখ টাকা ও অপর তিন আসামিকে দশ লাখ করে টাকা জরিমানা করা হয়েছে। বুধবার সকালে ঢাকার বিভাগীয় বিশেষ বিচারক মিজানুর রহমান খান এ রায় ঘোষণা করেন।

এ মামলার অপর তিন আসামি হলেন- ঢাকা সিটি করপোরেশনের ইউনিক কমপ্লেক্স দোকান মালিক সমিতির সভাপতি আবদুল বাতেন নকী, সাধারণ সম্পাদক মাহমুদ হাসান আজাদ ও গুডলাক কার পার্কিংয়ের ম্যানেজার এইচ এম তারেক আতিক। এ মামলার তিন আসামি জামিনে ছিলেন। রায় ঘোষণার সময় তারা হাজির না হওয়ায় তাদের জামিন বাতিল করে সাজা পরোয়ানা জারি করেছে আদালত।

গত ১২ নভেম্বর রাজধানীর বনানী সুপার মার্কেটের কারপার্কিং ইজারায় দুর্নীতির এ মামলার রায় ঘোষণার জন্য ১৯ নভেম্বর দিন ঠিক করেছিলেন। কিন্তু ওইদিন রায় প্রস্তুত করা সম্ভব না হওয়ায় তা পিছিয়ে ২৮ নভেম্বর ধার্য করা হয়।

মামলার অভিযোগে থেকে জানা যায়, মামলার আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার করে ডিসিসির বনানী সুপার মার্কেট কাম হাউজিং কমপ্লেক্সের বেজমেন্টের কার পার্কিং ইজারার জন্য ২০০৩ সালের দরপত্র আহ্বান করেন। অংশগ্রহণ করা ৪টি দরপত্রের মধ্যে মিজানুর রহমান নামে জনৈক ব্যক্তি বার্ষিক এক লাখ ১০ হাজার টাকায় সর্বোচ্চ দরদাতা নির্বাচিত হন। পরবর্তীতে সাদেক হোসেন খোকা অপরাপর আসামিদের সঙ্গে পরস্পর যোগসাজশে ইজারার কার্যক্রম স্থগিত করেন। এর মাধ্যমে ফেব্রুয়ারি ২০০৩ সাল হতে ফেব্রুয়ারি ২০১১ সাল পর্যন্ত ৩০ লাখ ৮২ হাজার ৩৯৯ টাকা ঢাকা সিটি করপোরেশনের ক্ষতি করেছেন।

২০১৫ সালের ২৯ নভেম্বর মামলাটিতে বর্তমানে বিদেশে অবস্থানরত এ আসামির বিরুদ্ধে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. কামরুল হোসেন মোল্লা চার্জগঠন করে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছিলেন। পরে মামলাটি বিচারের জন্য ঢাকার বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতে পাঠানো হয়।

২০১২ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর শাহবাগ থানায় দুদকের সহকারী পরিচালক মাহবুবুল আলম বাদী হয়ে এ মামলাটি দায়ের করেন। মামলাটিতে ২০১২ সালের ৮ নভেম্বর বাংলাদেশ দণ্ডবিধির ৪০৯/১০৯ ধারা এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫ (২) ধারায় সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকাসহ চার জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল হয়।

আরকেএইচ

---