প্রথমবারের মতো নির্বাচনে গ্রাম পুলিশ

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রথমবারের মতো গ্রাম পুলিশকে নির্বাচনী কাজে ব্যবহার করতে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। মঙ্গলবার আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর অর্থ বরাদ্দ বিষয়ক সভা শেষে ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
ইসি সচিব বলেন, ‘এ বছর আমরা নতুন একটি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে যাচ্ছি। সেটি হলো এ বছর সারা দেশে দফাদার ও মহলদার মিলে প্রায় ৪৫ হাজার গ্রাম পুলিশকে নির্বাচনী কাজে ব্যবহার করব।’
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার সময় প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা বলেছিলেন, ‘প্রত্যেক নির্বাচনী এলাকায় নির্বাহী ও বিচারিক হাকিম নিয়োগ দেওয়া হবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিভিন্ন সংস্থা থেকে ৬ লক্ষাধিক সদস্য মোতায়েন করা হবে। তাদের মধ্যে থাকবে পুলিশ, বিজিবি, র্যাব, কোস্ট গার্ড, আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী’।
ইসি কর্মকর্তারা জানান, গতবার নির্বাচন আয়োজনে ব্যয় হয়েছিল প্রায় ২৬৫ কোটি টাকা, যার মধ্যে ১৮৩ কোটি টাকাই লেগেছে আইনশৃঙ্খলা খাতে। পুরো ৩০০ আসনে ভোট করতে হলে খরচও সে অনুযায়ী দ্বিগুণ হবে। একাদশ সংসদ নির্বাচন পরিচালনা ও আইনশৃঙ্খলায় ৭০০ কোটি টাকার খাতওয়ারি বরাদ্দ অনুমোদন করেছে নির্বাচন কমিশন।
হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, ‘মঙ্গলবারের আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর অর্থ বরাদ্দ বিষয়ক সভায় আমরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে বাজেট সংক্রান্ত আলোচনা করেছি। আমরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে বলেছি আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে বাজেট দাখিল করতে। আনসার বাহিনীকে আমরা শতভাগ টাকা অগ্রিম বরাদ্দ দেব। অন্য বাহিনীগুলোকে ৫০ ভাগ বরাদ্দ অগ্রিম দেব।’
প্রসঙ্গত, ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। বুধবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া যাবে। ২ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের পর ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন।
আরকেএইচ