ঢাকা বৃহঃস্পতিবার, ২৪শে এপ্রিল ২০২৫, ১২ই বৈশাখ ১৪৩২


কাশ্মীরে হানিমুনে গিয়ে নিহত ভারতীয় নৌবাহিনীর কর্মকর্তা


২৪ এপ্রিল ২০২৫ ০৯:১৯

ফাইল ফটো

ভারতশাসিত কাশ্মীরের পহেলগামে বন্দুকধারীদের হামলায় নিহতদের মধ্যে রয়েছেন ভারতীয় নৌবাহিনীর লেফটেন্যান্ট বিনয় নারওয়াল। মাত্র ছয় দিন আগে গত ১৬ এপ্রিল তাদের বিয়ে হয়।

 

এই হামলার খবর প্রকাশ্যে আসার পর থেকে সামাজিক মাধ্যমে একাধিক ভিডিও এবং ছবি দেখা গেছে, তার মধ্যে একটিতে এক নারীকে তার স্বামীর দেহের পাশে শোকস্তব্ধ অবস্থায় বসে থাকতে দেখা যাচ্ছে। ওই ছবি বিনয় নারওয়াল এবং তার স্ত্রী হিমাংশীর।

 

তাদের পরিবার জানিয়েছে, ২১ এপ্রিল স্ত্রী হিমাংশীর সঙ্গে কাশ্মীরে মধুচন্দ্রিমায় গিয়েছিলেন বছর ২৬-এর বিনয় নারওয়াল।

 

তার দাদা হাওয়া সিং নারওয়াল সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, “বিয়ের পর সুইজারল্যান্ড যাওয়ার ইচ্ছে ছিল ওর (বিনয় নারওয়ালের)। কিন্তু ভিসা না পাওয়ায় কাশ্মীরে গিয়েছিল।”

 

কাশ্মীর থেকে ফিরে আগামী পহেলা মে পরিবারের সঙ্গে নিজের জন্মদিন পালনের পরিকল্পনাও ছিল তার।

 

ভারতশাসিত কাশ্মীরের ‘মিনি সুইজারল্যান্ড’ হিসেবে পরিচিত পহেলগামের বৈসারণ উপত্যকায় বন্দুকধারীরা মঙ্গলবার হামলা চালায়। মূলত পর্যটকদের নিশানা করা হয়েছিল।

 

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, হামলার সময় বেছে বেছে পুরুষদের নিশানা করা হয়ছিল। বন্দুকধারীদের গুলিতে মি. নারওয়ালের মৃত্যু হয়।

 

ইঞ্জিনিয়ারিং পাস করে বছর দুয়েক আগে নৌবাহিনীতে যোগ দিয়েছিলেন বিনয় নারওয়াল। বর্তমানে কেরালার কোচিতে তার পোস্টিং ছিল। বিয়ের জন্য ছুটি নিয়ে দিন কয়েক আগে বাড়ি ফিরেছিলেন।

 

হরিয়ানার কার্নালের বাসিন্দা ছিলেন তিনি। তার এক ছোট বোন রয়েছে। ছেলেকে হারিয়ে শোকস্তব্ধ নারওয়াল পরিবার।

 

বিনয় নারওয়ালের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে নৌবাহিনীর পক্ষ থেকে বিবৃতি দেওয়া হয়েছে। সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, “পহেলগামে এই কাপুরুষোচিত হামলায় লেফটেন্যান্ট বিনয় নারওয়ালের মৃত্যুতে নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল দীনেশ ত্রিপাঠি এবং ভারতীয় নৌবাহিনীর সমস্ত কর্মীরা গভীরভাবে মর্মাহত।”

 

বুধবার দুপুরে নারওয়ালের দেহ দিল্লি এসে পৌঁছায়। ভারতীয় নৌসেনার পক্ষ থেকে তাকে শ্রদ্ধা জানানো হয়।