আ’লীগকে নিষিদ্ধের দাবিতে সচিবালয়ে শিক্ষার্থীরা

আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ এবং দলটির নিবন্ধন বাতিলের দাবিতে জাতীয় সচিবালয় এলাকায় অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন কিছু বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী। তারা দাবি করেছেন—আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনগুলোকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে পিলখানা হত্যাকাণ্ড, শাপলা চত্বরের ঘটনা এবং জুলাই গণহত্যাসহ বিগত ১৫ বছরের সব অপরাধের বিচারের আওতায় আনা হোক।
সোমবার (২১ এপ্রিল) বেলা ২টার পর শিক্ষার্থীরা সচিবালয়ের প্রধান ফটকের সামনে জড়ো হন। তবে সচিবালয় এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি থাকায় পুলিশ তাদের রাস্তার উল্টো পাশে ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনের সামনের সড়কে অবস্থান নিতে বলে। সেখানে তারা ব্যানার-ফেস্টুন নিয়ে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন।
অবস্থান কর্মসূচি থেকে শিক্ষার্থীদের ৫ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল আইন উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি জমা দিতে সচিবালয়ে প্রবেশ করেন। প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী মুসাদ্দিক আলী ইবনে মোহাম্মদ। অন্য সদস্যরা হলেন সাদিক আল আরমান, রাফিদ এম ভুইয়া, সালেহ মাহমুদ রায়হান এবং মাসুদ রানা।
স্মারকলিপি জমা দেওয়ার আগে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মুসাদ্দিক বলেন, আমরা আগেও বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়েছি। জুলাই আন্দোলনের শহীদদের পুনর্বাসন ও আহতদের চিকিৎসার দাবি জানিয়েছি। কিন্তু সরকার প্রতিবারই এড়িয়ে গেছে। এবার আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে স্মারকলিপি দিয়েছি। এরপরও যদি কোনো পদক্ষেপ না নেওয়া হয়, তাহলে আমরা দুর্বার আন্দোলনে নামব।
তিনি জানান, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানকে সামনে রেখে তারা দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও সচেতন তরুণদের ঐক্যবদ্ধ করার কাজ করছেন। স্মারকলিপি জমা দেওয়া এই আন্দোলনের প্রাথমিক ধাপ মাত্র; শিগগিরই আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলেও জানান তিনি।