ঢাকা বুধবার, ১৬ই এপ্রিল ২০২৫, ৪ঠা বৈশাখ ১৪৩২


টিউলিপের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ইস্যুতে যা বললো যুক্তরাষ্ট্র


১৬ এপ্রিল ২০২৫ ১১:০৩

ফাইল ফটো

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে আবারও উঠলো বাংলাদেশ প্রসঙ্গ এবং টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ইস্যু। তবে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ বাংলাদেশি জনগণের দ্বারাই নির্ধারিত হবে বলে জানিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ট্যামি ব্রুস।

 

স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) এক প্রশ্নকারীর প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।

 

ট্যামি ব্রুস বলেন, দেশটি অনেক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছে এবং মানুষের কর্মকাণ্ডই ঠিক করবে তারা কীভাবে এই সমস্যা ও চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করবে।

 

এদিনের ব্রিফিংয়ে ব্রিটিশ এমপি ও শেখ হাসিনার বোনের মেয়ে টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ইস্যুর বিষয়টিও উঠে আসে ব্রিফিংয়ে। মুখপাত্র ব্রুস জানান, এই পরোয়ানা বাংলাদেশের আদালতের পক্ষ থেকেই ইস্যু করা হয়েছে এবং এটি একটি স্থানীয় আইনি বিষয়।

 

টিউলিপের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির বিষয়টিকে স্থানীয় কর্তৃপক্ষের এখতিয়ার বলে অভিহিত করেন ট্যামি ব্রুস। তিনি বলেন, এই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা বাংলাদেশের আদালতের তরফ থেকে জারি করা হয়েছে।

 

ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নকারী বাংলাদেশে সাম্প্রতিক প্রতিবাদ-বিক্ষোভ, ইসলামি চরমপন্থার আশঙ্কাজনক বৃদ্ধি, ওসামা বিন লাদেনের ছবি প্রদর্শন, নাৎসি প্রতীক ব্যবহারের মতো বিষয় এবং মার্কিন ব্র্যান্ড কোকাকোলা ও কেএফসির বিরুদ্ধে অ্যান্টিসেমিটিক প্রচারণা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।

 

জবাবে মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র ট্যামি ব্রুস বলেন, আমি আপনার বক্তব্য শুনেছি এবং আপনার উদ্বেগের প্রশংসা করি। বাংলাদেশ একটি গুরুত্বপূর্ণ দেশ এবং দেশটির কিছু বিশেষ চ্যালেঞ্জ রয়েছে। এই দেশ নিয়ে আমরা আগেও বহুবার আলোচনা করেছি, বিশেষ করে এখানে উপস্থিত সাংবাদিকদের প্রশ্নের মাধ্যমে।

 

তিনি আরও বলেন, আমরা বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে সচেতন এবং এগুলো অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করি। অবশ্যই তাদের সঙ্গে যোগাযোগ এবং আলোচনা আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। তবে এসব পরিস্থিতি বাংলাদেশের স্থানীয় কর্তৃপক্ষের এখতিয়ারেই পড়ে।

 

ট্যামি ব্রুস আরও বলেন, গণতন্ত্রও গুরুত্বপূর্ণ। মানুষের কর্মকাণ্ডই ঠিক করবে তারা কীভাবে এই সমস্যার মোকাবিলা করবে। গত ২০-২৫ বছর ধরে আমরা দেখেছি, ভুল সিদ্ধান্ত কীভাবে জনগণের জীবন ধ্বংস করে দিতে পারে। কাজেই অনেক দেশের সামনে এখন স্পষ্ট পথ রয়েছে— তারা কী বিকল্প বেছে নেবে।