প্রকাশিত সংবাদ বিষয়ে ব্যখ্যা কুড়িগ্রাম পুলিশ সুপারের

প্রকাশিত সংবাদ বিষয়ে ব্যখা দিয়েছেন কুড়িগ্রামের পুলিশ সুপার মাহফুজুর রহমান। তিনি বলেন, পুলিশকে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে দাঁড় করানোর একটি অপচেষ্টা হয়েছে প্রকাশিত এই সংবাদের মাধ্যমে।
ব্যাখ্যায় পুলিশ সুপার মাহফুজুর রহমান বলেন, কুড়িগ্রামের চিলমারীতে তিস্তা ব্রীজের উপরে নবনির্মিত হরিপুর তিস্তা ব্রীজের পার্শ্বে মা মেয়েকে উতক্তের অভিযোগে চিলমারী ও গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ এলাকার লোকজনের মধ্যে চলমান উত্তেজনাকে কেন্দ্র করে গত ১০ এপ্রিল রাতে জেলা পুলিশের একটি চৌকস টিম অস্ত্র উদ্ধার সংক্রান্তে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিশেষ অভিযান পরিচালনার সময় একজন অজ্ঞাত উৎসুক তরুন গোপন অভিযানের ভিডিও ধারন করা শুরু করে। ওই তরুন নাম পরিচয় না দিয়েই ভিডিও ধারন করতে থাকে। এ অভিযানের তথ্য ফেসবুকে ফাঁস হতে পারে আশংকা করে তার মোবাইল হতে ভিডিওটি ডিলিট করার পরামর্শ দেয়া হয়। ওই তরুনের সাংবাদিক পরিচয় আমাদের জানা ছিল না। পুলিশ ও মিডিয়া পরস্পর বন্ধু, আমরা মিডিয়া কে আঘাত করে কোন শব্দ উচ্চারণ করিনি। একটা নির্জলা মিথ্যে ছড়ানো হচ্ছে।
তিনি বলেন, আমরা আমাদের চাকুরী জীবনে জেনে আসছি পুলিশ সাংবাদিক পরস্পর ভাই ভাই। আমাদের মধ্যে এক ধরনের বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশ সবসময় রয়েছে। আমি ইতোপূর্বে অনেক অনেক মিডিয়ার সঙ্গে কথা বলেছি। সংবাদে যে বিষয়ে বলা হয়েছে তা কখনো আমার মুখ থেকে বের হয়নি। যে তরুণ ভিডিও ধারণ করছিল তাকে আমরা সাংবাদিক হিসেবে মনে হয়নি। আমি তাকে ছোট ভাই হিসেবেই অভিযানের গোপন বিষয় ভিডিও না ধারণ এবং সেটি ডিলিট করতে বলেছি।
তিনি বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমি স্থানীয় সংবাদিকদের সঙ্গে বসেছি। তাদের সঙ্গে সৌহাদ্যপূর্ণ যে সম্পর্ক আমার সেটি অব্যাহত থাকবে। এটি নিয়ে ভূল বোঝাবুঝি হয়েছিল। সেটি সমাধান হয়েছে। পুলিশ সাংবাদিকদের সহায়তা করবে এবং সাংবাদিকরাও পুলিশকে সহায়তা করবে এমন কথাই হয়েছে আমাদের মধ্যে।