সকাল থেকেই লাখো মানুষের ঢল, পতাকা-টিশার্ট বিক্রির ধুম

ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করতে আজ ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যান পালিত হবে ‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচি। বিকাল ৩টায় এই গণজমায়েত শুরু হওয়ার কথা থাকলেও সকাল থেকেই সেখানে লাখো মানুষের ঢল দেখা যাচ্ছে। দলে দলে উদ্যানে আসছে মানুষ। এদিকে এই জমায়েত ঘিরে উদ্যানের আশপাশে পতাকা, মাথার ব্যাজ ও টি-শার্ট বিক্রির ধুম পড়েছে। অনেক আগ্রহ নিয়েই সেসব কিনছেন আগত অনেকেই।
সকাল সাড়ে ১০টার মধ্যেই সারা দেশ থেকে কয়েক হাজার লোক উপস্থিত হয়েছেন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে। মানুষের ঢলে সমাবেশস্থলের অর্ধেকের বেশি জায়গায় ভরে গেছে। সবার হাতে বাংলাদেশ ও ফিলিস্তিন পতাকা এবং বিভিন্ন স্লোগান সংবলিত প্ল্যা-কার্ড দেখা গেছে।
গাজায় চলমান বর্বরোচিত ইসরাইল আগ্রাসনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক জনমত গঠন এবং মানবিক সহানুভূতি জাগ্রত করতেই অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ব্যতিক্রমধর্মী এই গণজমায়েত। বেলা ৩টা থেকে মাগরিবের পূর্ব পর্যন্ত ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠিত হবে এই ‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচি।
কর্মসূচি ঘিরে চাহিদা বেড়েছে পতাকার। ফিলিস্তিনের প্রতিটি পতাকা আকারভেদে বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ৩০০ টাকায়। মাথার ব্যাজ বিক্রি হচ্ছে ১০ থেকে ২০ টাকায়। আর টি-শার্ট বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকায়।
‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচিতে আসা নিরব আহমেদ বলেন, ফিলিস্তিনের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করতেই পতাকা কিনলাম। ছোট-বড় বিভিন্ন সাইজের পতাকা রয়েছে, আমি বড়টাই কিনেছি।
টি-শার্ট ও মাথার ব্যাজ পরা শফিক বলেন, যেহেতু ফিলিস্তিনের জন্য আয়োজিত সমাবেশে অংশ নিচ্ছি, তাই তার অংশ হতেই টি শার্ট, ব্যাজ কেনা। যেন মনে হয় আমি নির্যাতিত ফিলিস্তিনরই একজন।
আজকের কর্মসূচির লক্ষ্য গাজার নিরস্ত্র জনগণের প্রতি সংহতি প্রকাশ, বিশ্বজনমত গঠন এবং মানবিক মূল্যবোধের পক্ষে সোচ্চার হওয়া। বেলা ৩টা থেকে মাগরিবের পূর্ব পর্যন্ত ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠিত হবে এই মার্চ ফর গাজা কর্মসূচি। আয়োজকরা জানিয়েছেন, এতে বিভিন্ন ধর্মীয়, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া অঙ্গনের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ একাত্মতা প্রকাশ করেছেন।