ঢাকা শনিবার, ১৯শে এপ্রিল ২০২৫, ৭ই বৈশাখ ১৪৩২


ধুলাবালির রাজ্যে পরিনত হয়েছে সড়ক, অতিষ্ঠ জনজীবন


১১ এপ্রিল ২০২৫ ০৯:৩৬

সংগৃহীত

ব্রাহ্মণবাড়িয়া নবীনগরে ধুলাবালির রাজ্যে পরিনত হয়েছে একটি সড়ক। উপজেলার বিটঘর পুকুরপাড় মোড় থেকে বল্লভপুর ব্রিজ পর্যন্ত ৪ কিলো ৩৩০ মিটার সড়কটি যেন ধুলাবলির জন্য বেহাল দশা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

 

 

সরেজমিনে দেখা যায়, সড়কে অতিরিক্ত ধুলাবালি উড়ছে। এতে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, শিশু, বৃদ্ধা, পথযাত্রী ও স্থানীয় বাসিন্দার আবাসস্থলে বসবাসে অতিষ্ঠ জনজীবন ও চরম হুমকিতে জনস্বাস্থ্য। যানবাহন চলাচলের কারণে সড়কে কুয়াশার মতো ধুলা উড়তে দেখা গেছে।

 

অতিরিক্ত ধুলাবালির কারণে স্থানীয় এলাকাবাসীর আবাসস্থলে বসবাস করাও অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে।

 

 

জানা যায়,চলতি বছরের ফেব্রুয়ারী মাসে এই সড়কটি কাজ শুরু হয়েছে। যা রাস্তা প্রশস্ত হচ্ছে ২৪ ফুট। ব্যয় ধরা হয়েছে ১০ কোটি টাকা। কাজ পেয়েছেন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান বরেন্দ্র কনস্ট্রাকশন। রাস্তার কাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে ২৬ সালের শেষের দিকে।

 

 

 

স্থানীয় বাসিন্দা ও পথচারীরা জানান, সড়কের পাশে আমাদের আবাসস্থল। রাস্তায় অতিরিক্ত ধুলাবালির দূষণে আমরা অতিষ্ঠ জনজীবন, চরম হুমকিতে রয়েছে জনস্বাস্থ্য। বর্তমানে আবহাওয়া শুষ্কতার কারণে যানবাহন চলাচলের সঙ্গে প্রচন্ড পরিমাণে ধুলাবালির ছড়িয়ে নানা রোগের আক্রান্ত হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। এমনকি আবাসস্থলও বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। ধুলাবালির এ সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে কাছে দ্রুত সমস্যা সমাধানের দাবি জানান তারা। 

 

 

চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ধুলাবালিতে বিভিন্ন রোগের জীবাণু থাকে। এতে শ্বাসকষ্ট হতে পারে। ধুলাবালি মানব শরীরের ফুসফুসকে আক্রান্ত করে। সবসময় ধুলাবালি বেষ্টিত পরিবেশে থাকলে ফুসফুসে রক্তপ্রবাহ দুর্বল হয়। সর্দি, কাশি, অ্যালার্জি, টনসিল, গলাব্যথা, অ্যাজমাসহ বিভিন্ন রোগ হয়।

 

 

ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের ইঞ্জিনিয়ার মোঃ নাজমুল হাসান বলেন, আমরা রাস্তার কাজ পাওয়ার পর থেকে দ্রুত গতিতে শেষ করার চেষ্টা করছি। প্রথমে রাস্তার পাশের খাল থেকে মাটি তুলে রাস্তা প্রশস্ত করার জন্য মাটিগুলো রাস্তার এক পাশে রাখা হয় অতিরিক্ত গাড়ি চলাচল করার কারণে এর থেকে ধুলাবালু উড়ছে। রাস্তার পাশে প্রতিরক্ষা দেওয়াল তৈরি করা হচ্ছে। প্রতিরক্ষা দেওয়ালের কাজ শেষ হলে মাটিগুলো সড়িয়ে নেওয়া হবে এবং ধুলাবালু যেন না উড়ে আমরা পানি ছিটিয়ে দিব।