ঢাকা সোমবার, ২১শে এপ্রিল ২০২৫, ৯ই বৈশাখ ১৪৩২


‘সব দল না চাইলে ইভিএম নয়’


১০ নভেম্বর ২০১৮ ২২:৩৪

ফাইল ফটো

সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ টি এম শামসুল হুদা বলেছেন, সব দল না চাইলে জাতীয় নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করা উচিত নয়। শনিবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ‘জাতীয় নির্বাচনী অলিম্পিয়াড’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি একথা বলেন। সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

সাবেক সিইসি ইভিএম ব্যবহার নিয়ে কমিশনের সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে বলেন, ‘মোট কথা হচ্ছে, যে সব দলের অংশগ্রহণে আপনি যদি একটা ফ্রি অ্যান্ড ফেয়ার ইলেকশন করতে চান । তাহলে সেখানে সকল দল যদি এটা করতে রাজি না হয়, এ রকম বিষয় তো করা উচিত নয়।’


তিনি আরো বলেন, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ইভিএম স্থাপন করায় সন্দেহ আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। সকল দল যদি রাজি না হয় তাহলে জোর করে ইভিএম প্রয়োগ করার দরকার কি। কার স্বার্থে তাড়াহুড়া করে ইভিএম চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে। বুয়েটের নকশায় ও বাংলাদেশ মেশিন টুলসের মাধ্যমে ইভিএম তৈরি করার পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু এখন বেসরকারিভাবে এটি স্থাপনের প্রক্রিয়া চলছে। ইভিএম না করার প্রক্রিয়া থেকে হঠাৎ করে ইভিএম স্থাপন কার ইন্ধনে করা হচ্ছে।

সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা এম হাফিজউদ্দিন খান বলেন, নির্বাচন নিয়ে সরকার যে তড়িঘড়ি করছে তা মোটেও জনগণের কাছে বোধগম্য নয়। সংসদের মেয়াদ ২৮ জানুয়ারি শেষ হচ্ছে। তাই তড়িঘড়ি করে ২৩ ডিসেম্বর নির্বাচন না করে সরকার চাইলে তা সময় আরো বাড়াতে পারত।

সুজন সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, এটা রাজনৈতিক দল অন্যান্য অংশীজনকে ডেকে এটা প্রমাণ করানো। কিন্তু এগুলো কিছুই করে না। বিশেষজ্ঞরা বলে, এই জিনিস সম্পর্কে জনসচেতনতা সৃষ্টি করতে, রাজনৈতিক ঐকমত্য সৃষ্টি করতে বছরের পর বছর লেগে যাবে। কেন এত তড়িঘড়ি করে? কার স্বার্থে?

আরকেএইচ