ঢাকা শুক্রবার, ১৮ই এপ্রিল ২০২৫, ৬ই বৈশাখ ১৪৩২


লক্ষ্মীপুরে মাদ্রাসার কমিটি নিয়ে বিএনপি-জামায়াত দ্বন্ধ 


১০ এপ্রিল ২০২৫ ১১:৫৪

সংগৃহীত

 লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার ঐতিহ্যবাহী কচুয়া আহমদিয়া ফাজিল মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির পদ নিয়ে মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছে বিএনপি এবং জামায়াতে ইসলামীর সহস্ত্রাধিক নেতাকর্মী।

 

মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. শাহ আলমের অদক্ষ ব্যবস্থাপনায় বুধবার সকালে মাদ্রাসা এবং মাদ্রাসা সংলগ্ন রামগঞ্জ ও চাটখিল উপজেলার ওই দুই দলের নেতাকর্মী-সমর্থকরা মারমুখী অবস্থান নেয়। 

 

এসময় রিয়াদ হোসেন নামের চাটখিলের একজন সাংবাদিক হেনস্থার শিকার হন। সৃষ্ট পরিস্থিতিতে দুই উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকায় আতংক ছড়িয়ে পড়ে। পরে রামগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আবুল বাশারের নেতৃত্বে রামগঞ্জ থানা পুলিশ এবং দুই উপজেলার বিএনপি ও জামায়াত নেতৃবৃন্দদের সমঝোতায় কেন্দ্রীয় যুবদলের সহ-সমাজ কল্যাণ সম্পাদক সৈয়দ মাহমুদকে সভাপতি এবং স্থানীয় জামায়াত নেতা কাজী ফরিদকে সহ-সভাপতির পদ প্রস্তাবনায় এনে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।

 

স্থানীয় এলাকাবাসী জানান, কচুয়া আহমদিয়া ফাজিল মাদ্রাসার বিরুদ্ধে রয়েছে নানান অভিযোগ। বিশেষ করে বিগত আওয়ামী সরকারের আমলে মাদ্রাসার অনুুকূলে আসা সকল সরকারী বরাদ্ধ ও ব্যক্তিগত অনুদান লুটপাট হয়েছিলো। 

 

৫আগস্টের পর ওই সকল দুর্নীতির বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে তদন্ত পূর্বক দোষীদের আইনের আওতায় আনার জন্য স্থানীয় ভাবে দাবি উঠে। সর্বজন গ্রহনীয় ব্যাক্তিকে সভাপতির পদে বসিয়ে মাদ্রাসার সকল অনিয়ম তুলে ধরার আহবান জানানো হয়। যার প্রেক্ষিতে বিএনপির দাবি সৈয়দ মাহমুদ সভাপতির যোগ্য। 

 

অন্যদিকে জামায়াতের দাবি ওই পদের জন্য যোগ্য হলেন কাজী ফরিদ। বুধবার সকালে মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোঃ শাহ আলম স্থানীয় গণ্যমাণ্য ব্যক্তিদের না জানিয়ে সভা আহবান করে। এমন সংবাদ ছড়িয়ে পড়ার সাথে সাথে দুই উপজেলার বিএনপি জামায়াত সমর্থকরা মাদ্রাসা এরিয়ায় মারমুখী অবস্থান নেয়। 

 

সংবাদ পেয়ে একদল পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন ওসি মোহাম্মদ আবুল বাশার। এসময় উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব শেখ মাহবুবুর রহমান ভিপি বাহার,পরকোট ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান তৌহিদুল ইসলাম, রামগঞ্জ উপজেলা যুবদল সভাপতি কবির হোসেন কানন, যুবদল নেতা সবুজ ওমর, জামিল চৌধুরী, চাটখিল উপজেলা যুবদল নেতা জহির উদ্দিন বাবর, ছাত্রদল নেতা মোঃ সাদ্দাম হোসেন, জামায়াত নেতা হাফেজ আহম্মেদ মিরন, এনামুল হক সহ একাধিক নেতৃবৃন্দ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে ভূমিকা রাখেন।