ঢাকা শনিবার, ১৯শে এপ্রিল ২০২৫, ৭ই বৈশাখ ১৪৩২


চীনের ওপর আরও ৫০ শতাংশ শুল্কারোপের হুমকি ট্রাম্পের


৮ এপ্রিল ২০২৫ ১২:১৩

ফাইল ফটো

সর্বশেষ জাতীয় রাজনীতি অর্থনীতি আন্তর্জাতিক সারাদেশ খেলা বিনোদন চাকরি

আন্তর্জাতিক

 

চীনের ওপর আরও ৫০ শতাংশ শুল্কারোপের হুমকি ট্রাম্পের

Icon আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ: ০৮ এপ্রিল ২০২৫, ১০:৪৮ এএম

 

চীনের ওপর আরও ৫০ শতাংশ শুল্কারোপের হুমকি ট্রাম্পের

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: সংগৃহীত

 

চীনা পণ্যের ওপর আরও ৫০ শতাংশ শুল্কারোপের হুমকি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

 

স্থানীয় সময় সোমবার (৭ এপ্রিল) ট্রাম্প বলেন, চীন যদি আমেরিকার ওপর আরোপ করা পালটা শুল্ক আগামীকালের (মঙ্গলবার) মধ্যে না কমায়, তাহলে তাদের ওপর আরও ৫০ শতাংশ শুল্কারোপ করা হবে। অচিরেই এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে। 

 

হোয়াইট হাউস থেকে জানানো হয়, এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হলে চীনা পণ্যে মোট ১০৪ শতাংশ শুল্ক আরোপ থাকবে।

 

মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনবিসি বলছে, ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্ক যুদ্ধে এবার নতুন বিস্ফোরণ। ট্রাম্পের নতুন শুল্ক নীতির জেরে সারা বিশ্বে শেয়ার বাজারে পতন নেমে এসেছে। ট্রাম্প চীনা পণ্যের ওপর ৩৪ শতাংশ শুল্ক চাপিয়েছিলেন। পালটা চীনও ইটের বদলে পাটকেল হিসেবে ৩৪ শতাংশ শুল্ক চাপায়। 

 

এই ঘটনায় এবার চীনকে কড়া হুঁশিয়ারি দিলেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট। সোমবার তিনি ট্রুথ সোশ্যালে লিখেছেন- চীনকে মঙ্গলবারের মধ্যে ওই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করতে হবে। তা না হলে আরও ৫০ শতাংশ শুল্ক চাপানো হবে চীনের পণ্যে। শুধু তাই নয় চীনের সঙ্গে সব বৈঠক বাতিল করা হবে। এককথায় চীন থেকে সরে যাবে যুক্তরাষ্ট্র। 

 

চীন আগেই ঘোষণা করেছিল, আমেরিকার পণ্যের ওপর ৩৪ শতাংশ অতিরিক্ত শুল্ক চাপানো হবে ১০ এপ্রিল থেকে। তার আগেই ট্রাম্পের এই হুঁশিয়ারি। ফলে বিশ্বের দুই বড় অর্থনৈতিক দেশের মধ্যে বাণিজ্য যুদ্ধ তীব্র আকার ধারণ করতে চলেছে। তাতেই অশনি সঙ্কেত দেখছে আন্তর্জাতিক মহল।

 

ট্রাম্প অবশ্য শুধু চীনকে নয় অন্যান্য দেশকেও হুমকি দিয়েছেন। আজ তিনি লিখেছেন, ‘যদি কোনো দেশ আমাদের শুল্ক চাপানোর ওপর পালটা শুল্ক চাপায়, তাহলে একইভাবে নতুন করে অতিরিক্ত শুল্ক চাপানো হবে।’ 

 

উল্লেখ্য, গত ৫ এপ্রিল চীন, ভারতসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ওপর রেসিপ্রোক্যাল ট্যারিফ বা পালটা শুল্কের নামে আমেরিকা প্রচুর কর চাপায়। যে ঘটনায় অনেক দেশই সরাসরি ট্রাম্পের এই একগুঁয়ে আচরণের প্রতিবাদ করেছে। এমনকি আমেরিকার মধ্যেই ট্রাম্পের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ হয়েছে।