শুল্ক ইস্যুতে ট্রাম্পকে চিঠি দেবে বাংলাদেশ

যুক্তরাষ্ট্রের নতুন করে ৩৭ শতাংশ পাল্টা শুল্ক আরোপের ঘোষণায় উদ্বেগ জানিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। দেশটির তৈরি পোশাকসহ বিভিন্ন পণ্যে এই শুল্ক ৯ এপ্রিল থেকে কার্যকর হওয়ার কথা রয়েছে। এ অবস্থায় যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসনের কাছে দ্রুত দুটি চিঠি পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার, যার একটি যাবে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে এবং অন্যটি ইউএস ট্রেড রিপ্রেজেন্টেটিভ (USTR)-এর উদ্দেশ্যে।
রোববার (৬ এপ্রিল) সচিবালয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রীর অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ। বৈঠকে বাণিজ্য ও পরিকল্পনা উপদেষ্টা, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, এনবিআর চেয়ারম্যান, অর্থ সচিবসহ বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও ব্যবসায়ী নেতারা অংশ নেন।
তিনি বলেন, বৈঠকে চারজন উপদেষ্টা, একজন উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি, একজন স্পেশাল অ্যাম্বাসেডর, দশজনের মতো সচিব এবং বড় ব্যবসায়ীদের মধ্য থেকে চারজন প্রতিনিধি ছিলেন।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব বলেন, প্রতিনিয়ত তাদের (যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি) সঙ্গে আমরা কথা বলছি। ঢাকায় তাদের দূতাবাসের কর্মকর্তা ছাড়াও ইউএসটিআরের কর্মকর্তারা রয়েছেন। আমাদের যেটা ডিসিশন, আমরা দুটি চিঠি দেবো। দুটিই আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে যাবে। একটা চিঠি যাবে আমাদের প্রধান উপদেষ্টার তরফ থেকে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে। আরেকটা চিঠি যাবে আমাদের বাণিজ্য উপদেষ্টার তরফ থেকে ইউএসটিআরের কাছে।
চিঠিতে কী থাকবে- সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, চিঠিতে কী কী থাকবে, কী ধরনের ভাষা ব্যবহার করা হবে সেটা নিয়েই আজ আলোচনা হয়েছে। আজ চারজন উপদেষ্টা ছিলেন, একজন হাইলি রিপ্রেজেন্টার ছিলেন, একজন স্পেশাল অ্যাম্বাসেডর, আমাদের প্রায় দশজনের মতো সেক্রেটারি ছিলেন, যারা বড় ব্যবসায়ী তাদের মধ্য থেকে চারজন প্রতিনিধি ছিলেন। সবার সঙ্গে কথা হয়েছে। আলোচনার পরই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে- ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দুটি চিঠি যাবে।
তিনি আরও বলেন, চিঠিতে যাই থাকুক সেটা আমাদের বিজনেসবান্ধব হবে। আমাদের বাংলাদেশের বিজনেসের স্বার্থটা দেখা হবে। বাংলাদেশের সঙ্গে কম্পিটিটিভ যেসব দেশ আছে তাদের চেয়ে আমরা আরও বিজনেসবান্ধব হবো, এই চিঠিটা যাবে। আরও বেশি বিজনেসবান্ধব হবে, যাতে ইউএসএ এবং আমাদের জন্য উইন উইন সিচুয়েশন হয় এবং আমাদের জন্য মার্কেট এক্সেসটা আরও বাড়ে।
প্রেস সচিব বলেন, ইউএসএ পৃথিবীর লার্জেস্ট মার্কেট, সেখানে আমাদের আরও অনেক বিলিয়ন ডলার রপ্তানির সুযোগ আছে। যেটা আমাদের উপদেষ্টারা এবং বিজনেস লিডাররা আজ বললেন